আজ বাতিল অধিনায়কের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল
য়ের খোঁজে যখন পুণের বালেওয়ারি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গা ঘামাচ্ছেন ওপারা-পেন-টোলগেরা, তখন ঘরের মাঠেই জোর কদমে অনুশীলনে নেমে পড়লেন ইস্টবেঙ্গলের আর এক বিদেশি ফুটবলার এডমিলসন। তবে আড়াই বছর পরে আবার লাল-হলুদ জার্সি পরার সুযোগ পেলেও, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত।
যদিও শুক্রবার অনুশীলনের পরে এডমিলসন সরাসরি ক্ষমা চাইলেন সৌমিক দের নাম করে। সৌমিক এখন পুণেতে। এডু বলছিলেন, “সৌমিকের সঙ্গে আমার যে গণ্ডগোল হয়েছিল, তার জন্য আমি সৌমিক আর ক্লাবের কাছে ক্ষমা চাইছি। এই ক’বছরে আমি নিজেকে পুরো বদলে ফেলেছি।” সাত দিনের মধ্যে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতে বলা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সেটা মোটামুটি কথার কথা।
ট্রেভর জেমস মর্গ্যান অবশ্য এ সব বিষয় নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে চাইছেন না। তাই শনিবার আই লিগে ডেরিক পেরিরার দলকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল-হলুদ কোচ পুণে থেকে ফোনে বললেন, “আমরা জিততে চাই। এই মুহূর্তে আর কিছু মাথায় ঢোকাতে চাই না। কলকাতায় ফিরে আলোচনা হবে।”
আজ পুণে জংশন পার করতে গেলে মর্গ্যানকে দু’টো বাধা টপকাতে হবে।
বিতর্কের মধ্যেই প্রস্তুতি শুরু এডমিলসনের। শুক্রবার অতনু ভট্টাচার্যের সঙ্গে।-নিজস্ব চিত্র
খারাপ মাঠ। পুণের বালেওয়ারি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠের অবস্থা খুবই শোচনীয়। শুক্রবারও রেহাই পেলেন না মেহতাব-ভাসুমরা। অনুশীলনের সময় শেষ হওয়ার আগেই উঠে পড়তে হয়। স্কুল স্পোর্টস থাকায়। মর্গ্যান বলছিলেন, “আগে যখন এসেছিলাম তখন ডান দিকটা শুধু খারাপ ছিল। এ বার তো অবস্থা আরও খারাপ। পুরো মাঠটা একেবারে পুরনো ক্যাম্বিস বলের মতো লাগছে। এবড়ো-খেবড়ো, উচু-নিচু।”
এক বঙ্গসন্তান। ইস্টবেঙ্গলের বাতিল অধিনায়ক গোলকিপার অভ্র মণ্ডল। মূলত এটাই বদলার ম্যাচ অভ্রর কাছে। যদিও প্রাক্তন লাল-হলুদ গোলকিপার ফোনে বলছিলেন, “প্রমাণ করার কিছু নেই। বেশি এ সব নিয়ে ভাবলে, নিজের খেলাটাই খেলতে পারব না। ফুটবলটাই ভুলে যাব। আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই ইস্টবেঙ্গলকে দেখছি। ভাল খেলে দলকে জেতানোই আমার একমাত্র লক্ষ্য।” ইস্টবেঙ্গলের দুঃসময়ে প্রাক্তন সতীর্থদের পাশেও দাঁড়ালেন তিনি। বলছিলেন, “আমার বিশ্বাস একটা জয়ই বদলে দেবে ইস্টবেঙ্গলকে। সেই জয়টা অবশ্য পুণের বিরুদ্ধে পাবে না।”
শনিবারের ম্যাচে এক স্ট্রাইকারে খেলতে চাইছেন মর্গ্যান। ৪-৪-১-১ ছক। রক্ষণে ওপারা, গুরবিন্দর, নির্মল ও সৌমিক। মাঝমাঠে মেহতাব, সুশান্ত, হরমনজিৎ ও ভাসুম। ফরোয়ার্ডে টোলগের পিছনে উইথড্রন ফরোয়ার্ড পেন। হঠাৎ করে নতুন ছকে খেলার কারণ একটাই, ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা। এই অবস্থায় মাঝমাঠকে আরও শক্তিশালী করতেই নতুন ছক মর্গ্যানের।
পুণে এফ সি কোচ ডেরেক পেরিরাও আত্মবিশ্বাসী। বললেন, “এ বারের আই লিগে কোনও দল ছোট নয়। শনিবার তিন পয়েন্টের জন্যই নামব।” পেরিরার জন্য সুখবর, দলে কোনও চোট-সমস্যা নেই। জেজে, লেস্টার ফার্নান্দেজ, ভেঙ্কটেশ সবাইকেই পাচ্ছেন তিনি।
এ দিকে, শনিবার যুবভারতীতে হ্যালের বিরুদ্ধে নামছে প্রয়াগ ইউনাউটেড। সুখবর হল, সঞ্জয় সেনের দলেও কোনও চোট সমস্যা নেই।

শনিবারে আই লিগে

ইস্টবেঙ্গল : পুণে এফ সি (পুণে, ৬-৩০),
প্রয়াগ ইউনাইটেড : হ্যাল (যুবভারতী, ২-০০),
ডেম্পো : চিরাগ কেরল (গোয়া), এয়ার ইন্ডিয়া : লাজং (পুণে)।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.