টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি করে ডেভিড ওয়ার্নার বলে দিচ্ছেন, ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। অতটা আক্রমণাত্মক না হলেও প্রায় একই সুর ভারতীয় কিংবদন্তি ওপেনার সুনীল গাওস্করের। “ভারতের উচিত পিছনে না তাকিয়ে সামনে তাকানো। দুভার্গজনক ভাবে যদি এর মানে হয়, কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারকে বিদায় জানানো যারা এত বছর দেশের হয়ে সাফল্যের সঙ্গে খেলেছে, তা হলে সেটাই করতে হবে। একটা টিম যদি ১৬১ রানে অলআউট হয়ে যায় তা হলে তরুণ ক্রিকেটারদের খেলানো উচিত যারা অভিজ্ঞতা থেকে শিখবে এবং ভবিষ্যতে দেশকে কিছু দিতে পারবে। তারা নয়, যারা আগে অনেক দিয়েছে কিন্তু এখন দিতে পারছে না,” বলেছেন গাওস্কর। কিন্তু পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তিনি সব সিনিয়রকে বাদ দেওয়ার কথা বলছেন না বা ধোনির নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়ার কথাও নয়। “আমি বলছি সেই ক্রিকেটারদের নেওয়া হোক যারা ইংল্যান্ড সফরের ব্যর্থতার জন্য প্রভাবিত নয়। নির্বাচকরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
ও দিকে, বাইশ গজে ভারতীয় বোলিংকে দুমড়ে-মুচড়ে মাঠের বাইরেও ধোনিদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেন ডেভিড ওয়ার্নার। “বছর দুয়েকের মধ্যে সচিন-দ্রাবিড়রা অবসর নিলে ভারতীয় ক্রিকেট কোথায় থাকবে? তরুণরা কি আদৌ তৈরি হয়েছে?” প্রশ্ন তুলে দিলেন ওয়ার্নার। এখানেই শেষ নয়। তৃতীয় টেস্টটাও যে ধোনিদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে, প্রথম দিন খেলার শেষেই সেটা জানিয়ে দিলেন। “ওরা নিজেরাই নিজেদের ডুবিয়েছে। আমাদের পেসাররা পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্টাম্পে বল করলে কী হবে, ভারতীয়রা সেগুলোকে তাড়া করেছে। যত মারতে গিয়েছে, তত খোঁচা দিয়ে আউট হয়েছে।” শুক্রবার খেলার শেষে ইশান্ত শর্মা এবং বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা কাটাকাটি করতে দেখা যায় ওয়ার্নারকে। “ওরা বলছিল যে, ভারতে খেলতে গেলে আমার ব্যাটিং গড় অনেক কমে যাবে। আমি বলে দিয়েছি, এখানকার চেয়ে ওখানে আমার গড় কমপক্ষে দশ বেড়ে যাবে। কারণ ওখানে উইকেট পাটা,” ব্যাখ্যা ওয়ার্নারের। সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে ওয়ার্নার এতটাই মরিয়া ছিলেন যে, উমেশ যাদবের বাউন্সার কানের পাশে লাগার পরেও মাঠ ছাড়েননি। বরং উমেশের পরের দু’টো শর্ট পিচ্ড বলেই বাউন্ডারি মারেন।
পাশাপাশি আবার পারথের পিচ-পার্টি নিয়ে সাফাই দিয়ে রাখলেন ওয়াকার প্রধান কর্তা গ্রেম উড। বলেছেন, “টেস্টের আগের দিন পিচের পাশে মাঠকর্মীরা ও রকম একটু-আধটু পান করেই থাকেন। খাটাখাটনি শেষের পর একটু আমোদপ্রমোদ।” ওয়াকার পিচ কিউরেটর কাম সাদারল্যান্ডও সহকর্মীদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন। “আমি আর কয়েক জন সহকর্মী মিলে পিচে কাজ করছিলাম।”
|