নোনাই নদীতেও দেখা মিলল ডুয়ার্সের বিরল প্রজাতির মাছ ‘পাইপ ফিশ’। শুক্রবার কার্শিয়াং কলেজের প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক মানিক আচার্য নোনাই নদী থেকে একজোড়া পাইপ ফিশ সংগ্রহ করেন। ১৯৩৭ সালের পরে ২০০৬-০৮ সালে হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (ন্যাফ) পক্ষ থেকে ডুয়ার্সের বক্সা অভয়ারণ্যের মাছ নিয়ে গবেষণার সময়ে ওই দুটি মাছের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। মানিকবাবু ওই দুটি মাছ সংগ্রহ করেছেন আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায়। মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম মাইক্রোফিস ডেওকাটা। ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু অবস্য দাবি করেছেন, সমীক্ষার সময়ে তাঁরা বক্সা, গরুমারা এবং জলদাপাড়ার প্রতিটি নদীতেই এই মাছটি খুঁজে পেয়েছেন। ন্যাফের সমীক্ষক দলের অন্যতম সদস্য বিমল চন্দ বলেন, “গত বছর বন দফতরকে বক্সা এলাকায় পাওয়া মাছের তালিকা জমা দেওয়া হয়। এ বছর নভেম্বরে গরুমারা ও জলদাপাড়ার রিপোর্ট দেওয়া হয়। প্রতিটি রিপোর্টেই এই মাছটির উল্লেখ রয়েছে।” মানিকবাবু জানান, মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত না হলেও মাছটি দেখতে সুন্দর। সরু ও লম্বাটে গড়নের। এই মাছটির মুখ চোখা হয়। এরা ভেলন সারিয়া নামে এক প্রকার জলজ ঘাসে থাকে। ফলে অন্যান্য মাছ এদের খেতে পারে না। মাছটি চার ইঞ্চি থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। প্রজননের সময় পুরুষ মাছের গায়ে সবুজ রংয়ের আভা আসে এবং মেয়ে মাছের গায়ে বাদামী আভা দেখা যায়। মেয়ে মাছটি ডিম দিলেও পুরুষ মাছ সেগুলিকে নিজের বুকের ভেতর থাকা বিশেষ থলিতে রেখে পালন করে। মূলত ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশেই মাছটি পাওয়া যায়। তিনি বলেন, “আমি তরাই ও ডুয়ার্সের অনেক জায়গা মাছ নিয়ে গবেষনা চালানোর সময় এই মাছটি খোঁজার চেষ্টা করেছিলাম। নোনাই নদীতে মাছটির দেখা পেলাম।” |