টুকরো খবর |
বাঘের আতঙ্ক সামসেরনগরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
বাঘের আতঙ্ক ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন সংলগ্ন হিঙ্গলগঞ্জের ২ নম্বর সামসেরনগরে। বৃহস্পতিবার রাতে হরিণ তাড়া করে আসা বাঘটি প্রায় ঢুকে পড়েছিল লোকালয়ে। শেষ মুহূর্তে পুলিশের জিপের আলো চোখে লাগায় পালিয়ে যায় জঙ্গলে। ফের লোকালয়ে ঢুকতে পারে, এই আশঙ্কায় পুলিশ, বনকর্মী, এলাকার বাসিন্দারা রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিতলা পঞ্চায়েতের কুঁড়েখালি খালের ধারেই জঙ্গল। স্থানীয় নাম আড়বেসে ওয়ান। খালের এ পারে সামসেরনগর। রাস্তার পাশে লোক বসতি। বাঘ যাতে খাল সাঁতরে সহজে লোকালয়ে ঢুকতে না পারে সে জন্য বন দফতর থেকে জঙ্গলের ধার ঘেঁষে লাগানো হয়োছে উঁচু জাল। এ দিন ওই গ্রামের এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের কয়েকজন তাঁকে কালিতলায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁরা দেখেন, বাঘটি জালের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। যে কোনও মুহূর্তে জাল টপকে খাল সাঁতরে এ পারে চলে আসতে পারে ভেবে চিৎকার করে লোক জড়ো করতে শুরু করেন তাঁরা। ওই সময় পুলিশের একটি টহলদারি জিপ চিৎকার শুনে দাঁড়িয়ে পড়ে। হেমনগর উপকূলবর্তী থানার ওসি অলকেশ বালা বলেন, “বাসিন্দাদের কাছ থেকে সব শুনে গাড়ি ঘুরিয়ে জঙ্গলের দিকে আলো ফেললে বাঘটি বনের মধ্যে ঢুকে পড়ে।” বনকর্মীরা জানান, বাঘটি যাতে গ্রামে ঢুকতে না পারে সে জন্য জাল পরীক্ষা ও রাত পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
|
ফের বাড়ি ভাঙল হাতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
বৃহস্পতিবার বড়জোড়ার কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ১২টি মাটির ঘর ভেঙে ফেলল দলমার ১০০ টি হাতির দল। বুধবার ওই হাতির পালটি এলাকার ৩২টি ঘর ভেঙেছিল। হাতির হামলায় জখম হয়েছিলেন দু’জন। অন্য দিকে, বাকি ৫০টি হাতি বৃহস্পতিবারও বাঁকাদহ রেঞ্জ এলাকায় তাণ্ডব চালায়। হাতি তাড়ানোর দাবিতে দুটি রেঞ্জ অফিসেই শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। বড়জোড়ার কেশবপুর, বাগুলি, মোলবোনা গ্রামে খাবারের সন্ধানে ঢুকে হাতির পাল ১২টি ঘর ভেঙে দেয়। বাথানবেড়া, মুক্তাতোড়, মাধবপুর ইত্যাদি গ্রামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, সর্ষে ও ধানে ক্ষতি হয়েছে। বাথানবেড়া গ্রামের ভক্তি বাগদি, মন্টু মাঝি বলেন, “এত ক্ষতি হচ্ছে বনকর্মীদের তবু দেখা মিলছে না।” ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) এস কুলন ডেইভাল বলেন, “উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য বনকর্মীরা ওই সব গ্রামে ঢোকার সাহস পাচ্ছেন না। তবে যে সব ক্ষতিগ্রস্তরা রেঞ্জ অফিসে আসছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” শুক্রবারও বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়ে গিয়েছেন কলাবাগান, ধানশোল, লাচনা, চিতরং গ্রামের বাসিন্দারা। রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “হাতির দলটিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঠানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু শিলাবতী নদীর ওপারে ব্যারিকেড করে বাধা দিচ্ছেন গড়বেতা এলাকার বাসিন্দারা।”
|
জখম হাতিটিকে নজরে রাখা শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
সুকনা সামরিক ছাউনি এলাকায় ঘুরে বেড়ানো জখম হাতিটির উপরে নজরদারি শুরু করল বন দফতর। গত বছর নেপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হাতিটির সামনের বাঁ পা ভেঙে গিয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে দু’দফায় চিকিৎসা করানো হলেও হাড় জোড়া না-লাগায় হাতিটি এখনও খোঁড়াচ্ছে। খাবারের সন্ধানে রোজই সামরিক ছাউনি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। জখম হাতিটিকে এলাকার বাসিন্দারা রোজই খাবার দিচ্ছেন। দার্জিলিঙের ডিএফও সিদ্ধার্থ রায় বলেন, “জখম হাতিটির উপরে রোজই নজর রাখা হচ্ছে। জঙ্গলের খাবারের বাইরেও হাতিটি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে বলে শুনেছি। তবে কারও উপরে হামলা করেনি।” হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র অনিমেষ বসু মনে করেন, হাতিটি লোকজনের উপরে হামলা না-করলেও সেটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। তিনি বলেন, “বন দফতরেরই দেখা দরকার, হাতিটির কী ধরনের চিকিৎসা দরকার। সেই মতো ব্যবস্থা করা দরকার।” তবে হাতিটির চিকিৎসা নিয়ে ধন্দে বন দফতরের কর্তারা। কেননা, হাতির হাড় ভেঙে গেলে সুস্থ করা কার্যত কঠিন কাজ। সুকনা এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাতিটিকে কখনও শুইয়ে বা বসিয়ে চিকিৎসা করানো যায় না। দাঁড় করিয়ে ভাঙা পায়ের চিকিৎসা করানো কঠিন বলে চিকিৎসকেরা আমাদের জানিয়েছেন। খাদ্যাভ্যাস বদলে যাওয়ায় লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। সেই জন্যই নজরদারি রাখা হচ্ছে।”
|
শহরে ঢুকে পড়ল হাতি, শোরগোল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এ বার মেদিনীপুর শহরের মধ্যেই ঢুকে পড়ল হাতি। শোরগোল পড়ল এলাকায়। খবর পেয়ে ছুটে এলেন বন দফতরের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে শহরের রাঙামাটিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যায় পাশের জঙ্গল থেকে বেরিয়েই শহরে আসে হাতি দু’টি। বন দফতর সূত্রে খবর, মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া ও তার আশপাশের জঙ্গলে কয়েকটি ‘রেসিডেন্সিয়াল’ হাতি রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি হাতি ক’দিন ধরেই শালবনি এলাকায় ঘোরাফেরা করেছে। কখনও মিরগা, কখনও গোদাপিয়াশালে এসে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। সম্প্রতি জঙ্গলপথ ধরে মেদিনীপুর সদরে ঢুকেছে তারা। বৃহস্পতিবার রাতে পথ ভুল করেই মেদিনীপুর শহরে ঢুকে পড়ে। পরে অবশ্য বনকর্মীদের তাড়া খেয়ে একটি হাতি চাঁদড়ার জঙ্গলে চলে গিয়েছে। অন্য হাতিটি নদী পেরিয়ে পাশের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে বলে অনুমান বন দফতরের। মেদিনীপুরের ডিএফও আশিস সামন্ত বলেন, “দু’টি রেসিডেন্সিয়াল হাতি শহরে ঢুকে গিয়েছিল। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় দফতরের কর্মীরাই হাতি দু’টিকে তাড়িয়েছেন।” তাঁর বক্তব্য, “রেসিডেন্সিয়াল হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে।” মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটিতে আইটিআই ও বেসরকারি হাসপাতাল ও কলেজ রয়েছে। একটি হাতি ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চত্বরের পাশেও চলে এসেছিল। বন দফতর অবশ্য জানাচ্ছে, উদ্বেগের কিছু নেই। দু’টি হাতিই জঙ্গলে চলে গিয়েছে।
|
‘মিথ্যা দূষণ’
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দূষণের অভিযোগ মিথ্যা, বালিগঞ্জের জামির লেনের ওয়াগন কারখানা নিয়ে মালিকেরই এক শরিক অপপ্রচার চালাচ্ছেন। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিছু দিন আগেও তিনি সেখানকার শ্রমিক ইউনিয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কারখানাটি ঘনবসতি এলাকায় শব্দ ও বায়ুদূষণ ছড়াচ্ছে বলে এলাকাবাসী দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে অভিযোগ জানান। পর্ষদের সুপারিশ মেনে কারখানাটি দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থাও নিয়েছে। তার পরেও এলাকার মানুষের অভিযোগ রয়েছে। শোভনবাবু বলেন, “দূষণ নিয়ন্ত্রণে কারখানা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছেন। এর পরে দূষণের অভিযোগ থাকার কথা নয়।” তিনি জানান, পর্ষদের সুপারিশ মেনেই বালিগঞ্জের কারখানা থেকে ফাউন্ড্রি বারুইপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
|
কুকুরের কামড়ে জখম আরও চার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের কুকুরের কামড়ে ডেবরায় জখম হলেন ৪ জন। বৃহস্পতিবার কুকুরের কামড়ে ৩৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সকলকেই এআরভি দেওয়া হয়। ক্ষিপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা পাগল সন্দেহে একটি কুকুরকে মেরেও দেয়। শুক্রবার ফের একটি কুকুর চার জনকে কামড়ালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি বলেন, “রোগগ্রস্ত কুকুরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
|
হাতির হানায় মৃত্যু গৃহবধূর
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
জঙ্গলে জ্বালানি কুড়োতে গিয়ে বুনো হাতির হানায় মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। বৃহস্পতিবার দুপুরে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানবাড়ি জঙ্গলে দুর্ঘটনা ঘটে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই বধুর নাম রঞ্জনা বর্মন (২৮)। বাড়ি উত্তর শিবকাটা গ্রামে। এ দিন ১০-১২ জনের একটি দল জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে যায়। ওই দলে ওই রঞ্জনা দেবীও ছিলেন। গোটা দলটি বুনো হাতির সামনে পড়ে যায়। অন্যরা পালিয়ে গেলেও তিনি হাতির নাগালে চলে যান। হাতিটি শুঁড়ে পেঁচিয়ে ছুড়ে ফেলে তাঁকে। গুরুতর জখম অবস্থায় গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
|
পোষা হাতির হানায় জখম ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
চিতাবাঘের হানার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই হাতির হানায় আতঙ্ক ছড়ালো গুয়াহাটিতে। আজ সকালে গুয়াহাটির খারগুলি এলাকায় একটি পোষা হাতি বাঁধন ছিঁড়ে রাস্তায় নেমে আসে। হাতির সামনে পড়ে জখম হয় এক শিশু-সহ তিনজন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জখমদের নাম কল্পনা ঠাকুরিয়া, গীতিমণি ঠাকুরিয়া ও জ্যোতিষ্মান ঠাকুরিয়া। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। |
|