|
|
|
|
বিয়ের প্রতিশ্রুতি |
তরুণীকে খুন, যুবক গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বৈদ্যবাটি |
গত ৫ জানুয়ারি রাতে বৈদ্যবাটিতে পুকুর থেকে এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশের দাবি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে বৈদ্যবাটিরই এক যুবক কেয়া পাত্র (১৯) নামে মেয়েটিকে খুন করে। বেচুরাম বাগ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত কাটারি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার রাতে বৈদ্যবাটির ব্যাঙ্ক কলোনি এলাকার একটি পুকুরে মেয়েটির দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। মেয়েটির পরণে ছিল কামিজ। নিম্নাঙ্গে পোশাক ছিল না। পুকুরটি থেকে কিছুটা দূরে গোয়ালাপাড়ার বাঁশবাগান থেকে ওই পোশাক উদ্ধার হয়। জানা যায়, মেয়েটির বাড়ি চণ্ডীতলা।
তদন্তে নেমে গত ১০ তারিখ রাতে বৈদ্যবাটি চক মুসলমানপাড়ার বছর তেত্রিশের যুবক, পেশায় মার্বেল মিস্ত্রি বেচুরামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, জেরায় খুনের কথা কবুল করেন ওই যুবক। তাঁর বাড়িতে স্ত্রী এবং বছর আটেকের মেয়ে রয়েছে। তদন্তকারীদের তিনি জানান, বছর তিনেক আগে কেয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। কেয়া তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তাঁর চাপে ওই যুবকও বিয়ে করার কথা বলে। কিন্তু এই বিয়েতে সায় ছিল না বেচুর।
ঘটনার দিন বিকেলে তিনি মেয়েটিকে ডাকেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন। সেই মতো বয়সের প্রমাণপত্র হিসাবে যাবতীয় শংসাপত্র সঙ্গে নিয়ে বেচুরামের কাছে আসেন ওই তরুণী। দিয়ারা স্টেশনে দু’জনের দেখা হয়।
সেখান থেকে সাইকেলে চাপিয়ে ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কেয়াকে গোয়ালাপাড়ার বাঁশবাগানে নিয়ে যান বেচু। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সেখানকার একটি পুকুরে তাঁকে চুবিয়ে মারেন। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য জল থেকে তুলে কাটারি দিয়ে গলার নলি কেটে দেন। দেহটি টেনে নিয়ে গিয়ে কাছেই অন্য একটি পুকুরে দেহটি ফেলে দেন। কেয়ার শংসাপত্র-ভর্তি ব্যাগটি বৈদ্যবাটিতে রেল লাইনের ধার ঘেঁসা ডিপি মুখার্জি স্ট্রিটের একটি কচুবনে লুকিয়ে রাখেন। পুলিশ ওই ব্যাগটিও উদ্ধার করেছে।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান থাকাতেও চণ্ডীতলার ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই নিয়ে স্ত্রী-র সঙ্গেও তাঁর বিস্তর ঝামেলা হয়। ইদানীং চণ্ডীতলার ওই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় রীতিমতো পরিকল্পনা করে ঠান্ডা মাথায় মেয়েটিকে খুন করেন বেচু।” |
|
|
|
|
|