নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মার জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা নিয়ে মিজোরাম ও কেন্দ্রের মধ্যে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। গত বছর জুলাই মাসে মার পিপল্স কনভেনশন (ডি) বা এইচপিসিডির সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। মার জঙ্গিরা সরকারের শর্ত না মেনে সশস্ত্র তোলাবাজি চালিয়ে যাচ্ছিল। পরিস্থিতি সামলাতে মিজোরাম সরকারকে মারদের সঙ্গে ফের শান্তি আলোচনা শুরু করতে বলে কেন্দ্র। কিন্তু ‘দুর্বিনীত লুঠেরা’-দের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ায় মিজোরাম সরকার আগ্রহী নয়।
কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার পর ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর কেন্দ্র, রাজ্য ও এইচপিসিডির মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির মেয়াদ ছিল মাত্র ছয় মাস। রাজ্য সরকারের অভিযোগ, সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করার পরে, নিয়মমতো সরকার স্বীকৃত শিবিরে জঙ্গিদের থাকার কথা। অস্ত্রও সরকারের হাতে জমা দেওয়ার কথা। কোনও শর্তই মানেনি এইচপিসিডি। তারা অস্ত্র নিয়ে মিজোরাম-মণিপুর সীমান্তে তোলাবাজি, অপহরণ চালাতে থাকে। ফলে গতবছর জুলাই মাসে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর লালজিরলিয়ানা জানান: বেপরোয়া, সশস্ত্র তোলাবাজ মার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছিল কেন্দ্র।
সম্প্রতি ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালজিরলিয়ানার একটি চিঠি এসেছে। লালজিরলিয়ানা জানান: কেন্দ্র মার জঙ্গিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ফের শুরু করতে চায়। রাজ্য সরকারকেই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ মিজোরাম সরকার। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্র যখন আগেরবার জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে, এ বারেও তারাই মধ্যস্থতাকারী পাঠাক। ‘অবাধ্য’ জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনার পথে হাঁটতে রাজি নন বলে সাফ জানিয়ে লালজিরলিয়ানা বলেন, “ক’দিন আগেই যে জঙ্গিদের লুঠেরা হিসেবে দমন করার নির্দেশ কেন্দ্র দিয়েছিল, তাদের সঙ্গে ফের আলোচনা কীসের? ওরা মুখে আলোচনা করে, কাজের বেলায় নিয়ম ভাঙে। যদি কিছু করতে হয় কেন্দ্র করুক।” |