নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রার্থী তালিকা সংক্রান্ত বিতর্কে দফতরে ভাঙচুর হওয়ার জের কাটিয়ে, ৪৭টি আসনেই প্রার্থী দিল মণিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস। প্রদেশ সভানেত্রী কিম গাংতে জানান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই দলের মূল নির্বাচনী স্লোগান হতে চলেছে। প্রদেশ তৃণমূলের তরফে, গত সপ্তাহে যে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রচার চালানো শুরু করে। কিন্তু তৃণমূলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রার্থী তালিকায় অদল-বদল করায় বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা ইম্ফলে তৃণমূল দফতর তছনছ করেন। দলীয় পতাকা পোড়ানো হয়। গা ঢাকা দেন প্রদেশ তৃণমূলের নেতারা।
গতকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৪৭টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় বাঙালির পরিচিত মুখ একটিই। তিনি হলেন ময়দানে খেলে যাওয়া মণিপুরি ফুটবলার সোসো। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই সোসোকে তাঁদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। শীঘ্রই দলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করা হবে বলে কিম গাংতে জানান। তবে দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় মণিপুরে আসবেন বলে গত দু’সপ্তাহ ধরে প্রচার চালানো হলেও তাঁরা আসেননি। ফলে দলের প্রচার ও সমর্থকদের মনোবল, দুটোই ধাক্কা খেয়েছে। কিম অবশ্য এখনও দাবি করে যাচ্ছেন, নির্বাচনের আগে প্রচারে মমতা আসছেনই।
এরই পাশাপাশি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে কংগ্রেস প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামা চলছেই। ভোট বয়কট ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করা সাত জঙ্গিদলের যৌথ মঞ্চ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচটি স্থানে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। অবশ্য কোথাওই কেউ জখম হননি। জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চ গত ১৮টি হানার দায় স্বীকার করা হয়েছে। এ দিকে, গত রাতে পশ্চিম ইম্ফলের পুলিশের গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। দু’টি পিস্তল, বেশ কিছু কার্তুজ ও তিনটি চিনা গ্রেনেড মিলেছে। |