শেষ মুহূর্তে আসন সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ায় বিজেপি এবং জেডিইউ একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে উত্তরপ্রদেশে। এনডিএ-র দুই দীর্ঘদিনের শরিক। আর দুই দলেরই অস্ত্র ‘বিহার মডেল’! সোমবার লখনউয়ে বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী দলের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ প্রকাশ করবেন। সেখানে গডকড়ী বিহার লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের পূর্ব প্রান্তের উন্নয়নের জন্য নীতীশ কুমারের রাজ্যের মডেলকেই বেছে নিয়েছেন।
বিজেপির নথির বক্তব্য, যে বিহারকে সবথেকে পিছিয়ে থাকা রাজ্য হিসেবে ধরা হত, ২০০৫ সালে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই বিহারই এখন সবথেকে বেশি উন্নয়নশীল রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ‘গুন্ডারাজ’ শেষ। কায়েম হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা। বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কৃষি ভিত্তিক শিল্প, সড়ক যোগাযোগ বেড়েছে। বিজেপি যখন বিহার মডেলকে সামনে রেখে এগোচ্ছে, তখন নীতীশের দলও একই মডেল নিয়ে ভোটযুদ্ধে ঝাঁপাচ্ছে। দিল্লিতে আজ জেডি (ইউ) নেতা শরদ যাদব দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বলেন, “উত্তরপ্রদেশে উন্নয়নই আমাদের প্রচারের অস্ত্র। বিহারে নীতীশ সরকার যে মডেল স্থাপন করেছেন, তা সামনে রেখেই নির্বাচনে নামছি।”
শুধু উন্নয়ন নয়, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস, মুলায়ম বা মায়াবতীর দলের মতো বিজেপিও সংরক্ষণ তাস খেলতে চাইছে। বিহারের নীতীশের ধাঁচেই উত্তরপ্রদেশেও বিভিন্ন স্তরে পিছিয়ে থাকা শ্রেণিগুলিকে সংরক্ষণের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিতে চাইছে বিজেপি। রাজনাথ সিংহ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) এবং দলিতদের মধ্যে পিছিয়ে থাকা অংশকে সংরক্ষণ দিতে চেয়েছিলেন। তখন সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। কংগ্রেসের সংরক্ষণ তাসের পাল্টা জবাব দিতে বিজেপি রাজনাথের আমলের সেই প্রতিশ্রুতি ফের সামনে আনতে চাইছে। বিজেপির জাতীয় সচিব ভূপেন্দ্র যাদব আজ বলেন, “দলিত এবং ওবিসিদের মধ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। ভিশন ডকুমেন্ট বা ইস্তাহারে এই ঘোষণা থাকতে পারে।” বিজেপি সূত্রের খবর, ভিশন ডকুমেন্টে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বাছাই করা সফল প্রকল্পগুলিকেও সামিল করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের লোকায়ুক্তের মডেল বা ছত্তীসগঢ়ের রেশন ব্যবস্থাও এমন অনেক কিছুই সামিল করা হবে এই নথিতে। |