কর আদায়ের পরিমাণ বাড়াতে আয়কর দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের গ্রামীণ ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি, দফতরের কর্মীদের করদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্যও বলেছেন তিনি। শুক্রবার দুর্গাপুরে আয়কর দফতরের এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে গ্রামীণ এলাকায় আয় বেড়েছে। সে দিকে নজর দিতে হবে। তা ছাড়া করদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।”
আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সালে দুর্গাপুরে এই দফতরের অফিস চালু হয়। তিন দশকে তার
|
দুর্গাপুরে প্রণব মুখোপাধ্যায়।
নিজস্ব চিত্র |
কাজের বহর বেড়েছে অনেকটাই। কাজের সুবিধার্থে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা নতুন ভবনটি গড়া হয়েছে। এ দিন সেই ভবনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কর আদায়ের পরিমাণ বাড়লে উন্নয়ন খাতেও বরাদ্দ বাড়ে। তাই কর আদায় কী ভাবে বাড়ানো যায়, তা ভাবতে হবে।” তিনি জানান, গত তিন দশকে আর্থিক ভাবে দেশ অনেক এগিয়েছে। উন্নয়নের সুফল পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। গ্রামীণ এলাকায় মানুষের আয়ও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। কাজেই সেখান থেকে কর আদায়ের সম্ভাবনা বেড়েছে। আয়কর দফতরের লোকজন দেখলে অনেকের মধ্যে অহেতুক ভীতি তৈরি হয়। তাতে কাজেরও অসুবিধা হয়। করদাতাদের সঙ্গে আয়কর দফতরের যোগাযোগ দৃঢ় করে সেই বাধা কাটাতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রণববাবু। তিনি বলেন,“এ ক্ষেত্রে আয়কর সেবাকেন্দ্রগুলি কাজে আসবে। রাজ্যে তেমন তিনটি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। জলপাইগুড়ি, কলকাতা ও দুর্গাপুরে। এই কেন্দ্রগুলির মূল লক্ষ্য হল, করদাতাদের সঙ্গে দফতরের যোগাযোগ সহজ করা।”
এ দিন নতুন ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলেন আয়কর দফতরের অনেক আধিকারিক। তাঁরা জানান, নতুন এই ভবনে দীর্ঘ দিনের সব রেকর্ড নথিবদ্ধ থাকার ব্যবস্থা আছে। ফলে প্রয়োজনে যে কোনও নথি হাতের কাছে মিলবে। তাতে কাজের গতিও বাড়বে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “এতে এক দিকে যেমন দফতরের কাজে সুবিধা হবে, তেমনই করদাতাদেরও হয়রান হতে হবে না।” দফতরের শূন্যপদ পূরণে উদ্যোগের আশ্বাসও দেন তিনি। |