টুকরো খবর |
তালাবন্দি প্রধান শিক্ষক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
মিড-ডে মিলের রাঁধুনি নিয়োগ করা নিয়ে বিবাদের জেরে স্কুলের ভিতরেই প্রধান শিক্ষককে আটকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল। শুক্রবার দুপুরে মাড়গ্রাম থানার দুনিগ্রাম এ কে হাইস্কুলের ঘটনা। প্রায় ঘণ্টা খানেক তালাবন্দি অবস্থায় থাকার পরে বাসিন্দাদের একাংশ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন। গ্রামের ছ’টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এ দিন প্রধান শিক্ষক নুরুল হককে তালাবন্দি করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, “গত চার বছর ধরে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীই স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্না করে যাচ্ছে। এথচ আমরা বার বার প্রধান শিক্ষকের কাছে রান্না করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু ওই গোষ্ঠীকেই রান্নার দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে আলাবন্দি করা হয়।” প্রধান শিক্ষক বলেন, “প্রশাসন ওই গোষ্ঠীকে রান্নার দায়িত্ব দিয়েছে। তাই নতুন করে আমি কাউকে নিয়োগ করতে পারি না। যা করার প্রশাসন করবে।” তাঁর দাবি, ওই ছ’টি গোষ্ঠেীর সদস্যদের বার বার এ কথা জানানোর পরেও তাঁরা হঠাৎ করে দরজা বন্ধ করে বাইরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও সোমা সাউ বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
|
স্বামী খুনে যাবজ্জীবন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল ওই প্রেমিক যুগলের। শুক্রবার সিউড়ি আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক মনিশঙ্কর দ্বিবেদী খুন হওয়া রাখহরি দাসের স্ত্রী সুমিত্রা দাস এবং তাঁর প্রেমিক রামপ্রসাদ দাস বায়েনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। সেই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাবাসের নির্দেশ দেন। ২০০৮ সালের ২২ জুলাই রাতে সাঁইথিয়ার দেড়পুর গ্রামের বাসিন্দা রাখহরিবাবু ঘরে শুয়েছিলেন। পরের দিন সকাল থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সরকারি আইনজীবী অশোক ধর বলেন, “রাখহরিবাবুর স্ত্রী সুমিত্রাদেবী ২৩ জুলাই জানিয়েছিলেন, সকাল থেকে তাঁর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চার দিন পরে দেড়পুর লাগোয়া গ্রাম বাগড়াকান্দা গ্রামের কাঁদর থেকে রাখহরিবাবুর দেহ উদ্ধার হয়। দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ২৭ জুলাই সাঁইথিয়া থানায় মৃতের দাদা ভাইয়ের স্ত্রী ও রামপ্রসাদ দাস বায়েনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন।” সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষের আইনজীবী নির্মলচন্দ্র মণ্ডল অবশ্য বলেন, “সুমিত্রাদেবী ও রামপ্রসাদ দাস বায়েন রাজনীতির শিকার। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।”
|
প্রতীক্ষালয়ের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
বাস ধরার জন্য যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু নেই কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয়। এর ফলে রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে যাত্রীদের আশ্রয় নিতে হয় রাস্তা লাগোয়া দোকানের বারান্দায়। সমস্যাটি ময়ূরেশ্বরের লোকপাড়া মোড়ে। অনেক সময় দোকানদারের বিরক্তির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। লোকপাড়া মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুভাষচন্দ্র ঘোষ বলেন, “লোকপাড়া থেকে বিভিন্ন রুটে ১৫-১৭টি বাস চলে। বাস ধরার জন্য শুধু এলাকার লোকজনই নন, সংলগ্ন মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষও লোকপাড়া মোড়ে আসেন। কিন্তু যাত্রী প্রতীক্ষালয় না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাঁদের। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও লাভ হয়নি।” ময়ূরেশ্বর দুই ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে ওই এলাকায় যাত্রী প্রতীক্ষালয় নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। জায়গা পেলে প্রতীক্ষালয় নির্মামের ব্যবস্থা করা হবে।”
|
ল্যাবে আগুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
|
পুড়ে যাওয়ার পরে। নিজস্ব চিত্র। |
শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে পুড়ে গেল বিশ্বভারতীর একটি ল্যাবরেটরির কিছু সামগ্রী। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আগুন লাগে শিক্ষাভবনের পদার্থ বিদ্যার ল্যাবরেটরিতে। বালি ও মাটি চাপা দিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন কর্মীরা। পরে অবশ্য দমকল কর্মীরা যান। বিভাগীয় প্রধান তারাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ ও কিছু ফাইল পুড়ে গিয়েছে। বড় কোনও ক্ষতি হয়নি।”
|
দেহ উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
মোবাইলের টাওয়ারের জেনারেটর ঘরে এক পাহারাদারের মৃতদেহ মিলল। ময়ূরেশ্বর থানার বীরচন্দ্রপুরের ঘটনা। শুক্রবার সকালে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানানয় মৃতের নাম নির্মল মণ্ডল (৪০)। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, জেনারেটরের দড়িতে তাঁর গায়ের চাদর জড়িয়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ জানার জন্য দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
|
ব্লকে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দাবিতে শুক্রবার সিউড়ি ২ ব্লক অফিসের সামনে ধানের বস্তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল এসইউসির কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিডিও আলোচনায় বসেন। বিডিও কোয়েলি দাস বলেন, “তাঁদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” |
|