পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়েই তাঁর কাছ থেকে মিলত সাহায্য, সুপরামর্শ।
তাই শুক্রবার কালনা পলিটেকনিক কলেজে অধ্যক্ষের বদলির নির্দেশ আসতেই বেঁকে বসলেন ছাত্রছাত্রীরা। কলেজের মূল দরজায় তালা আটকে দিয়ে করলেন ক্লাস বয়কট।
কারিগরি শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে ২০০০ সালে এই কলেজটি স্থাপিত হয়। ২০০৬ সালে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজে যোগ দেন অসিতকুমার মান্না। একই সঙ্গে তিনি সামলাচ্ছিলেন হুগলির ব্যান্ডেল সার্ভে কলেজের অধ্যক্ষের কাজও। দিন দু’য়েক আগে সেখানকার পড়ুয়ারাও তাঁর বদলির বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন।
কলেজ সূত্রের খবর, তাঁকে কার্শিয়াং পলিটেকনিক কলেজে বদলি করা হচ্ছে। শুক্রবার অধ্যক্ষ কলেজে পৌঁছতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। কলেজের মূল দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা। বদলি রদ করার দাবিতে কলেজের ব্ল্যাক বোর্ডে সাঁটানো হয় পোস্টার। দুপুরে ৮৬ জন ছাত্রছাত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয় অধ্যক্ষকে। সেখানে তাঁরা দাবি করেন, বর্তমান অধ্যক্ষই তাঁর পদে বহাল থাকুন। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে শুভজিৎ পাল, সৌমিত্র ঘোষ, মৌসুমী পাল, শুভজিৎ সরকার বলেন, “স্যার আসার পরে কলেজে শৃঙ্খলা ফিরেছে। কলেজের উন্নতি হয়েছে। উনি চলে গেলে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই এই আবেদন।” |
দিনভর ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে না থাকায় বসেই কাটাতে হয় শিক্ষকদের। কিন্তু পড়াশোনা বন্ধ রেখে কেন এ ভাবে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ? ছাত্রছাত্রীদের দাবি, প্রশাসনকে নাড়া দিতেই এই সিদ্ধান্ত। বিকেল চারটে নাগাদ অবশ্য পিছু হটেন তাঁরা। জানান, বিধায়কের মাধ্যমে তাঁরা কারিগরি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই বদলি রদের জন্য আবেদন জানাবেন। এর পরে খোলা হয় মূল দরজার তালা।
রায়গঞ্জ থেকে মাঝদিয়া, কলেজে কলেজে যখন চলছে অধ্যক্ষ নিগ্রহের পালা, ঠিক তখনই আর এক অধ্যক্ষের বদলি আটকাতে ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলন। কী ভাবছেন অমিতবাবু? অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁর কিছুই করার নেই। তাঁর কথায়, “নিয়ম মানতে আমি বাধ্য। নতুন কলেজে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে অনেক কাজও এগিয়ে গিয়েছে।” |