নর্দমায় পড়ল ট্রাক, ফের সামনে এল কয়লা পাচার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
অবৈধ কয়লা বোঝাই ট্রাক আটকে গেল নর্দমায়। শুক্রবার ভোরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে জামুড়িয়ার চাঁদা মোড় এলাকার ঘটনা। পুলিশ ক্রেন দিয়ে ট্রাকটি তুলে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, চালক ও খালাসি পলাতক। তদন্ত চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন ভোর ৬টা নাগাদ একটি কয়লা বোঝাই ট্রাকের চাকা নর্দমায় ঢুকে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক জন যুবক গিয়ে একটি ছোট গাড়িতে করে কয়লা সরাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘণ্টাখানেক বাদে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাদের সামনেই ছোট গাড়ি করে কয়লা পাচার চলতে থাকে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েক জন বাসিন্দার অভিযোগ, ভোটের আগে কয়লা কারবার বন্ধ হলেও মাস চারেক আগে থেকে ফের তা শুরু হয়েছে। শ্রীপুর, এবি পিট, বৈজন্তীপুর, পরিহারপুর-সহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা কেটে এই রাস্তা দিয়ে প্রকাশ্যে পাচার করা হচ্ছে। কিন্তু মাফিয়াদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না। |
আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট গঠন হওয়ার পরে এলাকায় অবৈধ কয়লার কারবার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছিল পুলিশ। কিন্তু সম্প্রতি খনি এলাকার নানা জায়গা থেকে ৬টি কয়লার ট্রাক আটক করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় আট জনকে। এ দিন কয়লা ভর্তি ট্রাক নর্দমায় আটকে পড়ার পরে তাই কয়লা পাচার চক্র বন্ধ থাকার দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিপিএমের অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দত্তের কটাক্ষ, “আগে অবৈধ কয়লা কারবারের জন্য সিপিএমকেই দায়ী করত তৃণমূল। কিন্তু এখনও নর্থ সিহারসোল, বৈজন্তীপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় রমরমিয়ে অবৈধ কয়লার কারবার চলছে। আগেও আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। এখনও জানাচ্ছি।”
আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূলের বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) কমিটির কার্যকরী সভাপতি তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার কয়েক জনের মদতে গোপনে বিক্ষিপ্ত ভাবে অবৈধ কয়লা কারবার চলছে। স্থানীয় প্রশাসনের এ ব্যাপারে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।”
আসানসোল-দুর্গাপুরের এসিপি (সেন্ট্রাল) সুনীলকুমার যাদব স্বীকার করেন, “এখনও কিছু জায়গায় গোপনে অবৈধ কয়লার কারবার চলছে। তবে নিয়মিত অভিযানও চলছে।” তিনি জানান, শুক্রবার সকালে নর্দমায় আটকে যাওয়া ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |