|
|
|
|
বরফ-উচ্ছ্বাস দার্জিলিং পাহাড়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নতুন করে ফের তুষারপাত শুরু হয়েছে দার্জিলিং এবং লাগোয়া কয়েকটি এলাকায়। একই সঙ্গে বরফ পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া উত্তর সিকিমের বিভিন্ন প্রান্তে। বুধবার সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়ার পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে কিছু এলাকায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। তার পরেই ওই বরফ পড়ে। দার্জিলিং শহরে বাজার এলাকা, জোরবাংলো, টাইগারহিল, ঘুম, ডালি এবং রংবুল এলাকায় দুপুরের পর থেকে অল্পমাত্রায় তুষারপাত হয়েছে। অথচ গত ২৪ ঘন্টায় রোদ ঝলমলে আবহাওয়া পর এদিন বরফ পড়তে পারে, তা অধিকাংশ পাহাড়বাসীই ভাবেননি। বিকালের পর থেকে পাহাড়ের তাপমাত্রা ১/২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছেন। দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “বিক্ষিপ্তভাবে দার্জিলিং পাহাড়ের কয়েকটি এলাকায় তুষারপাত্র খবর এসেছে। পাহাড়ের বহু জায়গায় তাপমাত্রা শূন্যের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে।” |
|
টাইগার হিল যাবার পথে রবিন রাইয়ের তোলা ছবি। |
উল্লেখ্য, বছরের শুরুতেই প্রথমে সান্দাফু-ফালুটে তুষারপাত হয়। তার পরে আরেক দফায় টাইগারহিল এলাকায় বরফ পড়েছে। তবে খুবই অল্পমাত্রায় তুষারপাত হওয়ায় বরফ এখনও ভালভাবে জমেনি। পাহাড়ের বাসিন্দাদের অনুমান, গত ৪-৫ দিন ধরে আবহাওয়া যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে তাতে চলতি মাসেই ‘কুইন অব হিলস’ বরফের চাদরে পুরোপুরি মুড়ে যাবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, গত ৮ জানুয়ারির পর থেকে উত্তর পূর্ব ভারতের এই অঞ্চলে একটি বড় মাপের পশ্চিমী ঝঞ্ধা ঢুকে পড়েছে। এর কারণে পাহাড় এবং সমতলের আবহাওয়া অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। উত্তর সিকিম, টাইগার হিলের মত উঁচু পাহাড়ি এলাকায় হালকা বরফ পড়ছে। আর সমতলে রোদের পাশাপাশি রাতে এবং সকালে কুয়াশা ঢাকা আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। কমপক্ষে আরও ৪-৫দিন এই পরিস্থিতি চলবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিএমের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “প্রতি বছর সাধারণত এই সময়টা একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বড়মাপের হওয়ায় এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকবে। ঠান্ডা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” এ দিন দুপুর ২টা নাগাদ দার্জিলিং বাজার এলাকায় সরু সাদা তুলোর মত বরফ পড়তে শুরু করতেই বাসিন্দা, ব্যবসায়ী আনন্দে মেতে ওঠেন। ছোট ছোট শিশু, কিশোর-কিশোরীরা বরফ নিয়ে খেলাধূলা শুরু করে দেন। এর পরেই ঘুম, জোরবাংলো, ডালি, রংবুল এলাকা থেকে একই খবর আসে। অনেকেই ওই সমস্ত এলাকায় যান। তবে সন্ধ্যা অবধি পুরোপুরি বরফ জমেনি। শীতের দার্জিলিঙে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পর্যটকেরা গাড়ি ভাড়া করে ওই সমস্ত এলাকায় যান। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশেন সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, “রাজ্যের বাইরে থেকেও উৎসাহী অনেকে বরফ পড়ার খবর পেয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন। বেশ কিছু পর্যটক এলাকাগুলিতে ঘুরতেও গিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|