বৃষ্টি থেমেছে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় জমা জলে সাগরমেলার শুরুতেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে পুণ্যার্থীদের। কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে সাগরতটে। বুধবার থেকেই পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করল গঙ্গাসাগরে। প্রতিবারের মতো নতুন রঙে সেজেছে কপিলমুনির আশ্রম। আলোর মালা মন্দির এবং সংলগ্ন এলাকায়। জেটিঘাটগুলিও আলোয় ঝলমল করছে। দূরদূরান্ত থেকে সাধু-সন্ন্যাসীরা ইতিমধ্যেই নিজের নিজের ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছেন। মাইকে টানা চলছে সর্তকতামূলক প্রচার। অস্থায়ী বড় বড় দোকানগুলিতেও শেষ মূহূর্তের ব্যস্ততা তুঙ্গে। কিন্তু বুধবার সারাদিন প্রশাসনকে ব্যস্ত থাকতে হল গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জমা জল নিয়ে। বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হল বালি। |
টানা বর্ষণের জেরে এ ভাবেই প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে তাঁবু। গঙ্গাসাগরে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
কাকদ্বীপের লট-৮ জেটিঘাটের কাছের মাঠে প্রতিবারই গাড়ি রাখার জায়গা করা হয়। কিন্তু এ বার ওই মাঠে গাড়ি রাখতে এসে সমস্যায় পড়েছেন পুণ্যার্থীরা। কেননা, মাঠভরা জল। তাঁদের সুবিধার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে ওএনজিসি রোডের ধারে ও নিশ্চিন্দিপুর মোড়ের কাছে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা হয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা শুরুর আগেই পুণ্যার্থীদের জন্য লট-৮ এবং সাগরে অস্থায়ী তাঁবু, বাসস্ট্যান্ড, জেটিঘাট তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে দু’জায়গাতেই বেশ কিছু তাঁবু ভেঙে পড়ে। কিছু তাঁবুতে জলও ঢুকে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি সমস্যা মেটানোর জন্য তাঁবুগুলিকে পলিথিনে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। জল বের করার জন্য নিকাশি নালা কাটা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি বলে জানিয়েছেন পুণ্যার্থীরা।
সমস্যা রয়েছে লট-৮ ঘাটের কাছে তৈরি হওয়া অস্থায়ী হাপাতালেও। সেখানেও জল ঢুকেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। সমস্যার কথা মেনে নিয়ে কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, “পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। |