বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার গোপালপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম চন্দনা দাস (২৫)। মঙ্গলবার দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে একটি ঘরে তাঁকে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলতে দেখা যায়।
চন্দনাদেবীর বাবা সুনন্দ দাসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপরে অত্যাচার করত জামাই এবং শ্বশুর। তাঁরাই চন্দনাদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দনাদেবীর শ্বশুর পঞ্চানন দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চন্দনাদেবীর স্বামী ছোট্ট পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। বুধবার ধৃতকে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আট বছর আগে সন্দেশখালির আগারআটি গ্রামে বাসিন্দা চন্দনদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় ছোট্ট্। চন্দনাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়েতে বরপক্ষের চাহিদামতো যৌতুক দেওয়া হলেও আরও যৌতুকের দাবিতে চন্দনাদেবীর উপরে অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সমস্যা মেটাতে স্থানীয় ভাবে একবার সালিশি সভাও বসে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।
এ দিকে ধৃত পঞ্চাননবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই বৌমা উত্তেজিত হয়ে পড়তেন। ঘটনার দিন পারিবারিক বচসাকে কেন্দ্র করে অভিমানে নিজের ঘরে চলে যান। পরে ঘরের সিলিং থেকে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখা যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। |