|
|
|
|
বৃষ্টিতে জেলায় চাষে ক্ষতি ৫০০ কোটির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
শীতের অকাল-বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার অর্থমূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আলু, সর্ষে, ডাল-শস্য মিলিয়ে ৪০৫ কোটি টাকা আর ফুল এবং শাক-সব্জি মিলিয়ে ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার উপ কৃষি-অধিকর্তা (প্রশাসন) তপন ভুঁইয়া। তাঁর বক্তব্য, “আলু, সর্ষে, ডাল-সহ অন্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুধবারই ক্ষতির পরিমাণ-সহ সবিস্তার রিপোর্ট দফতরের মন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে।” জেলার উদ্যানপালন আধিকারিক শুভাশিস গিরি বলেন, “প্রাথমিক রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, আলু, সর্ষে-সহ ফসলের ক্ষতির হিসাব সোমবারই জেলার কিছু ব্লক থেকে এসেছে। এখনও কিছু ব্লক থেকে ক্ষতির রিপোর্ট আসছে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ারই আশঙ্কা। এ দিকে, বুধবার আর জেলায় বৃষ্টি না হলেও আকাশ মেঘলা ছিল। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণও ছিল বেশি। যা আলু-সহ সমস্ত ধরনের শীতকালীন ফসলের পক্ষেই ক্ষতিকর। জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছর জেলায় ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সর্ষে চাষ হয়েছিল। জেলার উপ-কৃষি আধিকর্তা (তথ্য) দুলাল দাস অধিকারী বলেন, “অকাল বৃষ্টিতে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমির আলুর ক্ষতি হয়েছে। আর সর্ষের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এ ছাড়াও গম ও অন্য ডাল-শস্যেরও ক্ষতি হয়েছে।”
এমনিতেই আলু-ধানের দাম না পেয়ে জেলার চাষিদের অবস্থা সঙ্গিন। তার উপর আলু ও শীতকালীন ফসলের ক্ষতিতে মাথায় হাত তাঁদের। জমিতে জল জমে থাকায় ফসলের গোড়ায় পচন-সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলেও রোগগ্রস্ত গাছ থেকে ফলনের সম্ভাবনা কম। এই বৃষ্টিতে বোরো ধানের বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৬০০ হেক্টর জমির বীজতলার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসাব। অন্য দিকে, শীতকালীন শাক-সব্জি, ফুলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা উদ্যানপালন দফতরের বক্তব্য। দফতর সূত্রের বক্তব্য, শাক, বেগুনের চারা, কাঁচালঙ্কা, ফুল ও বাঁধাকপি চাষে খুব ক্ষতি হয়েছে। |
|
|
|
|
|