|
|
|
|
সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু পূর্বে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দীর্ঘ টালবাহানার পরে সরকারি ভাবে ধান কেনা শুরু করল পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন সমবায় সমিতি।
জেলা সমবায় দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর রেঞ্জ-২ বিভাগের আধিকারিক অনিমেষ সেন বলেন, “জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্ধারিত সমবায়গুলি শিবির করে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছে। মঙ্গলবার যেমন নন্দীগ্রামের বাপুজি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ধান কেনার শিবির করে প্রায় ৩০০ কুইন্টাল ধান সংগ্রহ করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে জোরকদমে ধান কেনা হবে।”
বুধবার তমলুকের নন্দকুমার ব্লকের ব্যবত্তা হাটে ধান কেনার শিবির করেছে পূর্ব মেদিনীপুর (রেঞ্জ-২) হোলসেল কনজিউমার্স কো-অপারেটিভ। সংস্থার ডিরেক্টর শুভাশিস হাইৎ বলেন, “ওই দিন প্রায় ৩০০ কুইন্টাল ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। চেকের মাধ্যমে চাষিদের টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে আরও কয়েকটি জায়গায় শিবির করে ধান কেনা হবে।” এখনও পর্যন্ত জেলায় মাত্র ৫,৫০০ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য স্থানীয় বিভিন্ন রাইস মিল ও সমবায় সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও ধান কেনা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত ছিল। টাকার অভাবে ধান কিনতে না পারার কথা জানিয়েছিল অধিকাংশ সমবায় সমিতি। আবার রাইস মিলগুলিতে ধান কেনা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছিল জেলার বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। এই টানাপোড়েনে দিশেহারা চাষিদের অনেকেই বাধ্য হয়ে কম দামে ব্যবসায়ীদের কাছে ধান বিক্রি করেছেন। জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত সামান্যই ধান কেনা হয়েছে। জেলা খাদ্য দফতরের নিয়ামক নবরাজ বড়ুয়া বলেন, “জেলার বিভিন্ন সমবায় সংস্থা ও রাইস মিল ধান কেনার কাজ শুরু করেছে। সমবায় সংস্থার তরফে বিভিন্ন এলাকায় ধান কেনার জন্য শিবির করা হচ্ছে।”
জেলা খাদ্য সমবায় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে জেলা থেকে ১ লক্ষ ২ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রাজ্য খাদ্য দফতর। সেই অনুপাতে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। এই পরিমান ধান সংগ্রহ করতে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার দায়িত্ব পেয়েছে বিভিন্ন রাইস মিল ও সমবায় সংস্থা। বেনফেড, কনফেড, নাফেড ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম প্রভৃতি সংস্থার ধান কেনার কথা।
কিন্তু সরকারি ভাবে বরাদ্দ টাকা পেতে দেরি হওয়ায় ধান কেনা নিয়ে টালবাহানা চলছিল। জেলায় সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দাবিতে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিও দেয়। সম্প্রতি ধান কেনার জন্য খাদ্য দফতর কিছু টাকা বরাদ্দ করায় জেলার কয়েকটি রাইস মিল ধান কেনা শুরু করেছে। কয়েকটি সমবায় সংস্থাও ধান কেনা শুরু করেছে বলে জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|