|
|
|
|
সৈকত উৎসব ঘিরে সাজো-সাজো রব |
সুব্রত গুহ • দিঘা |
মুখ্যমন্ত্রী হয়েই দিঘাকে পর্যটকদের কাছে ‘গোয়া’ হিসাবে তুলে ধরার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ইচ্ছা ও পরিকল্পনা অনুযায়ীই শুক্রবার ১৩ জানুয়ারি থেকে দিঘায় শুরু হচ্ছে চার দিনের সৈকত উৎসব। উৎসবের উদ্বোধন করতে আসছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
সৈকত উৎসবকে কেন্দ্র করে দিঘা ও মন্দারমনিতে এখন শেষ মুহূর্তের সাজগোজ চলছে। উৎসব উপলক্ষে সৈকত-শহরের চেহারায় বদল আনারও নানা রকম চেষ্টা চালিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল জানিয়েছেন, উৎসবকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র পর্ষদের পক্ষ থেকেই ব্যয়-বরাদ্দ ধরা হয়েছে কোটি টাকারও বেশি। পর্যটন, মৎস্য, পূর্ত ও সেচ দফতরও উৎসবে সামিল হয়েছে। দিঘা শহরকে আলোকমালায় সাজানো হচ্ছে। আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা সংস্থার পক্ষে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিঘায় স্থায়ী সুদৃশ্য পথবাতির জন্যই শুধু ৬৪ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। পযর্টন দফতরের পক্ষ থেকে উৎসবে আগত পর্যটকদের অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ ও আনন্দ দিতে বিশেষ টেন্ট তৈরি করা হয়েছে। করা হয়েছে ওয়াটার স্পোর্টসেরও আয়োজন। |
|
সৈকত উৎসবের প্রস্তুতি দিঘায়। নিজস্ব চিত্র। |
উৎসবের জন্য গঠিত প্রস্তুতি-কমিটির অন্যতম সদস্য রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উৎসবের প্রস্তুতির কাজ চলেছে। মন্দারমনিতেও পর্যটন দফতর, স্থানীয় কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েত ও হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে উৎসবের অঙ্গ হিসেবে ওয়াটার-স্পোর্টস ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিঘা-মন্দারমনি সৈকতে এই উৎসবের মাঝে ‘বঞ্চনা’র ক্ষোভ ছড়িয়েছে শঙ্করপুর ও তাজপুরে। উৎসবের আঙিনা থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভ।
তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রথম দিঘা সফর উপলক্ষে আবেগের স্রোতও বইছে গোটা কাঁথি মহকুমায়। তাঁকে স্বাগত জানাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির তরফে রামনগর থেকে দিঘা পর্যন্ত সড়ক-পথে একাধিক তোরণ তৈরি করা হয়েছে। দেবব্রতবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে গোটা দিঘা জুড়ে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী উৎসবের উদ্বোধন করা ছাড়াও জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠকও করবেন (যদিও তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা বৈঠকে থাকছেন না)। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার জেলার পুলিশ সুপার আশোক প্রসাদ নিজে দিঘায় আসেন। |
|
|
|
|
|