বৃষ্টিতে একের পর এক ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার মধ্যেই আম্পায়ারদের সাসপেন্ড করা নিয়ে ডামাডোল স্থানীয় ক্রিকেটে। টানা বৃষ্টিতে মাঠের অবস্থা এত খারাপ যে বুধবার মোহনবাগান বনাম ভবানীপুর এএনঘোষ সেমিফাইনাল খেলানো সম্ভব হয়নি। ভেস্তে যাচ্ছে অন্য টুর্নামেন্টও। এ বিষয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার টুর্নামেন্ট কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
টুর্নামেন্টের এই অচলাবস্থার মধ্যে নিয়মবিধি ভঙ্গ এবং খারাপ আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগে ছয় আম্পায়ারকে নজিরবিহীন ভাবে কাঠগড়ায় তুলল সিএবি। চার জনকে সাসপেন্ড এবং দু’জনকে শো-কজ করা হয়েছে। লিগের কুমোরটুলি বনাম রাজস্থান ম্যাচে দুই আম্পায়ার সন্দীপ চক্রবর্তী এবং শান্তনু দে-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়মবিরুদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা ম্যাচে পিচ কভার ব্যবহার করেন। আম্পায়ারদের কেউ কেউ পাল্টা বলেছেন, সিএবি কর্তারা নিয়মের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। সাসপেন্ড করা হয়েছে আন্তর্জেলা টুর্নামেন্ট খেলাতে যাওয়া দুই আম্পায়ার বিপ্লব বসু এবং শুভঙ্কর পাকড়াশিকেও। সিএবি যুগ্মসচিব বিশ্বরূপ দে বললেন, “ম্যাচ শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পর ওঁরা মাঠে পৌঁছন। সিএবি ম্যাচের সঙ্গে আপস করবে না।” আম্পায়ারদের বক্তব্য, দুই আম্পায়ারের এক জন মাঠে ঠিক সময় পৌঁছন। অন্য জনের দেরি হয় বৃষ্টি চলায়। সিএবি তাঁদের বক্তব্য না শুনেই সাসপেন্ড করেছে। তৃতীয় ঘটনাটি লিগে কুমোরটুলি বনাম নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউট ম্যাচের দুই আম্পায়ার অভিজিৎ ভট্টাচার্য এবং অভীক বসুকে ঘিরে। একে বৃষ্টিতে ম্যাচ চালু করা সম্ভব হয়নি। উল্টে আম্পায়ারদের সঙ্গে ঝামেলা বাধে মাঠে উপস্থিত কিছু কর্মকর্তা এবং ক্রিকেটারের। সিএবি-র বক্তব্য, এই ঝামেলা নিয়ে আম্পায়ারদের রিপোর্ট ভাসা-ভাসা। নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাতে অভিযোগ নেই। এ দিকে, বিবেকানন্দের সার্ধ-শতবর্ষ উপলক্ষে রবিবার ইডেনে সিএবি প্রেসিডেন্ট একাদশ বনাম শ্রীনগর আর্মি একাদশ প্রদর্শনী টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। |