টুকরো খবর
ধূলাগড়ির কাছে মিলল যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ
এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ মিলল মঙ্গলবার রাতে সাঁকরাইলের ধূলাগড়ির কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের একটি ঝোপ থেকে। নিহতের নাম রাজকুমার সিংহ (৩৫)। বাড়ি বেলুড়ের রবীন্দ্র পল্লিতে। তিনি আমতার ইসলামপুরে একটি প্লাস্টিক ড্রাম তৈরির কারখানার পদস্থ কর্মী। পাশাপাশি, তিনি সহকর্মী মনোজ সিংহের সঙ্গে দু’টি ট্রাক কিনে অংশীদারি কারবার করতেন। তবে, কী কারণে খুন, সে ব্যাপারে পুলিশ অন্ধকারে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ওই যুবককে বুকে ও পিঠে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছে। বুধবার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “খুনের সঠিক কারণ এখনও পরিষ্কার হয়নি। এর পিছনে কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় দু’টি ট্রাকের চালককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে মনোজবাবুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ রাজকুমারবাবু আমতার অফিস থেকে সহকর্মী মনোজবাবুর সঙ্গেই বেরিয়ে অফিসের গাড়িতে ৮ কিলোমিটার দূরে রানিহাটি পর্যন্ত আসেন। সেখানে তিনি এটিএম থেকে ১০ হাজার টাকা তোলেন। এরপর সেখান থেকে একাই নিজেদের একটি ট্রাকে চেপে স্থানীয় একটি পেট্রল পাম্পে যান। সেখানে তাঁদের অন্য ট্রাকের চালক-খালাসিরা ছিলেন। তাঁদের বকেয়া টাকা মেটান। পরে হেঁটে কিছুটা দুরে ধুলাগড়ি মোড়ের কাছে বাস ধরতে চলে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পরে, রাত ১১টা নাগাদ ধূলাগড়ির কাছে ঝোপের পাশে রাজকুমারের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। রাজকুমারের জামার পকেট থেকে পাওয়া মোবাইল ফোন থেকে তাঁর বাড়ির লোকজন ও বন্ধুবান্ধবদের খবর দেয় পুলিশ। এরপর বাড়ির লোকজন এসে দেহটি শনাক্ত করেন। কী কারণে তাঁকে খুন করা হল, সে ব্যাপারে অন্ধকারে তাঁর পরিবারের লোকজনও।

লোকসংস্কৃতির একখণ্ড চিত্র বালির নিক্বণ মেলায়
আট বছরে পা দিতে চলেছে নিক্বণ সাংস্কৃতিক মেলা। আগামী ১৩-১৫ জানুয়ারি বালি দুর্গাপুর সত্যনারায়ণতলা যুবক সঙ্ঘ মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ বছরের থিম ‘লোকসংস্কৃতিতে সাজবদল ও সঙ।’ বাংলা লোকশিল্পের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে সাজবদলের নৃত্য। যেমন, পুরুলিয়ার ছৌ, রাবণকাটা। দিনাজপুরের মুখাখেল। মালদার মানবপুতুল। এই ঘরানায় আর একটি জনপ্রিয় লোকশিল্প সঙের নাচ। খাস কলকাতা শহরের পাড়ায় তো বটেই এই নাচ ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলার নানা প্রান্তে। রূপচাঁদ পক্ষী, অমৃতলাল বসু, দাদাঠাকুর প্রমুখ বহু কৃতী বাঙালি গান লিখে অনুপ্রাণিত করেছিলেন শিল্পীদের। নিক্বণ মেলা বাংলা সংস্কৃতির অধুনা বিস্মৃতপ্রায় এই সব অধ্যায়কেই তুলে এনেছে মেলা প্রাঙ্গণে। কথাকলিই একমাত্র শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলী, যেখানে সাজবদলের ভূমিকা নিজস্ব আঙ্গিক খুঁজে নিয়েছে। মেলায় কথাকলি নৃত্য প্রদর্শনেরও ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। থাকছে হস্তশিল্পের সম্ভার। বাংলার পিঠেপুলির স্টল, পুতুল নাচ। নিক্বণের সম্পাদক পার্থ নাগ জানান, সাজবদল নৃত্যের বিবর্তন, সামাজিক প্রভাব, ভাষার বিশেষত্ব নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে স্থানীয় স্কুলের ছেলেমেয়েরা।

স্কুলের ৫১ বর্ষপূর্তি
তিন দিন ধরে চলা হাওড়ার বাগনানের আনন্দনিকেতন হাইস্কুলের ৫১ তম বর্ষপূর্তি উৎসব শেষ হল রবিবার। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের দিন প্রভাতফেরি বের হয়। রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। একটি প্রদর্শনী, ‘আনন্দম’ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ এবং অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন করেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। উৎসবে গান, নাচ, আবৃত্তি, অঙ্কন, আলপনা ও ‘যেমন খুশি সাজো’ প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বাগনানের খালোড় ইয়ং সেন্টার ক্লাবের উদ্যোগে রবিবার থেকে তিন দিনের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল। ২১ তম বর্ষের এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় খালোড় কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানে যোগাসন, আবৃত্তি, অঙ্কন, নাটক প্রভৃতি প্রতিযোগিতায় ৮২৩ জন যোগ দেন। ছিল গানের আসর। ৪০০ জন ছাত্রছাত্রীকে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।

কংগ্রেসের অবরোধ
বুধবার বাগনানের নুন্টিয়াতে আধঘণ্টা বাগনান-শ্যামপুর রাস্তা অবরোধ করে মুগবেনাপুর কংগ্রেস কমিটি। রাজ্যে ‘শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয় বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।

জয়ী টিএমসিপি
উলুবেড়িয়া কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এই কলেজের ৮৬টি আসনেই অন্য কোনও সংগঠন প্রার্থী দিতে না দেওয়ায় এই আসনগুলিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। একই ঘটনা ঘটে জয়পুর পঞ্চানন রায় কলেজেও। এখানেও ২৫ টি আসনের সব ক’টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় টিএমসিপি।

মারধর চণ্ডীতলায়
কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে অদূরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তিন সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীতলার মশাট বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়ের অদূরে সূচিয়ায়। সিপিএম জেলা নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.