রেলিং আটকানো হোক জাল দিয়ে
ডোমজুড় থানা এলাকার হাওড়া-আমতা রোডের সলপে মুম্বই রোডের উপরে ছোট একটি উড়ালপুল আছে। হাওড়ার দিকে বা আমতার দিকে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা এই উড়ালপুলের দু’দিকে দাঁড়ান। উড়ালপুলে দু’দিক দিয়ে ওঠার রেলিংগুলির মাঝে বেশি ফাঁক আছে। যা দিয়ে ছোট বাচ্চারা গলে নীচে পড়েও যেতে পারে। অথচ দিনে-রাতে প্রায় হাজারখানেক পরিবার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে এখান দিয়ে যাতায়াত করে। উড়ালপুলের রেলিংয়ে তারের জাল দিলে ভাল। অন্য দিকে, শ্রীরামপুরে হাওড়া-চাঁপাডাঙা পাকা সড়কের ধারেই মশাট বাজার। বর্ধমান, বাঁকুড়া, আরামবাগ থেকে এখানে প্রচুর সরকারি, বেসরকারি বাস আসে। প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। এখানে একটি সুলভ শৌচালয় এখানে খুবই দরকার। বাজারের ভিতরে বা পথের ধারে অবিলম্বে শৌচালয়টি তৈরি হোক।
সেতু সংস্কার জরুরি
আদি সপ্তগ্রামের কাছে সরস্বতী নদীর উপরে নতুনপুল নামের সেতুটি (জিটি রোড) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমসাময়িক। এখানেই দিল্লি রোড জিটি রোডের সঙ্গে মিশেছে। বলাবাহুল্য, এখান থেকে এক-দেড় কিলোমিটার দূরে কুন্তী নদীর উপরে ১৯৩৯ সালেই তৈরি হয় আরও একটি সেতু। সেটি জীর্ণ হয়ে পড়ায় বছর পঁচিশ আগে সেতুটির পাশে জিটি রোডের সংযোগ রক্ষায় একটি নতুন সেতু নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, নতুনপুলের অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। প্রতি দিন এই জরাজীর্ণ সেতুটির উপর দিয়ে মালবাহী ট্রাক, যাত্রিবোঝাই বাস-সহ নানা যানবাহন যাতায়াত করে। অনেক দিন আগেই সেতুটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুর কাছে জিটি রোডে বড় বড় গর্ত। ৪-৫ ফুট দূরত্বে ১৫-২০ ফুটের নদীখাত রয়েছে, যা বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার পক্ষে যথেষ্ট। এ ব্যাপারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ করুক।
লটবহরে প্রাণ ওষ্ঠাগত
হাওড়া-বর্ধমান শাখার সি-৩৬৮২৮ এবং ৩৬৮৩২ ট্রেন দু’টিতে মেল ট্রেনের যাত্রীদের লটবহরের দৌরাত্মে হুগলি-হাওড়ার নিত্যযাত্রীদের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন শহর থেকে হাওড়া ও শিয়ালদহ অভিমুখে আসা বিভিন্ন মেল ট্রেনের যাত্রীরা সকালে অফিস টাইমে বর্ধমান নেমে তল্পিতল্পা নিয়ে এই দু’টি ট্রেন দখল করে বসেন। এর ফলে, ধনিয়াখালি, বেলমুড়ি, কামারকুণ্ডু, বারুইপাড়া ও জনাইয়ের যাত্রীরা প্রচণ্ড অসুবিধায় পড়েন। অফিসযাত্রীরা ভিড় ট্রেনে তাঁদের কাঁধের ব্যাগটুকু বাঙ্কে রাখার জায়গা পান না। মেল ট্রেনের যাত্রীরা দেড়-দু’দিন সফর সেরে আসতে পারছেন, অথচ আর দেড়-দু’ঘণ্টা যেতে পারছেন না? বড় লাগেজগুলি ভেন্ডারে পাঠালে কিছুটা সুবিধা হয়। নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষে নজর দেওয়ার আবেদন জানাই।
কত বগির ট্রেন, ঘোষণা হোক
লোকাল ট্রেনগুলি কোনওটি নয়, কোনও দশ কোনওটি আবার ১২ বগির। দিনের বেলায় তবু ঠিক আছে, রাতে যখন স্টেশনে ট্রেন ঢোকে, সেটি কত বগির বোঝা যায় না। বৃদ্ধ, অসুস্থ যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে নাকাল হন। স্টেশনের যেখানে তাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন, হয় তো সেখানে ভেন্ডার পড়ল। ফলে, খুবই অসুবিধায় পড়েন যাত্রীরা। হয় সব ট্রেন ১২ বগির করা হোক, না হলে ট্রেন ঢোকার মুখে ঘোষণা করা হোক, সেটি কত বগির। তা হলে যাত্রীরা খুবই উপকৃত হবেন।
পিচের কাজ শেষ হবে কবে
আমতার মান্দারিয়া থেকে কোটালপাড়া প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ। রাস্তাটি দামোদর খালের পূর্বপাড়ে। বছর তিনেক আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনায় পিচের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ অসমাপ্ত। পাথর ফেলা রাস্তায় সাইকেল, রিকশা, ট্রলিভ্যান, বাইক নিয়ে যাতায়াত করা সমস্যার। যত্রতত্র পাথর পড়ে থাকায় পায়ে হাঁটাও দায়। আর কত দিন এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে?
আরও দু’টি ছাউনি দরকার
ভদ্রেশ্বর স্টেশনের ১ এবং ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি করে যাত্রী ছাউনি ছিল। ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আরও দু’টি ছাউনি নতুন করে তৈরি হয়েছে। কিন্তু ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই মুহূর্তে দু’প্রান্তে আরও দু’টি ছাউনি খুবই দরকার। ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশে টিকিট ঘরটিও চালু করা জরুরি।
রাস্তা পাকা করা হোক
পুইনান থেকে হাউর ভায়া সিকটা নবগ্রাম রাস্তাটি গত চার বছর আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনার অনুমোদন পেলেও এখনও কাজ শুরু হয়নি। রাস্তাটি হুগলির সদর শহর চুঁচুড়া যাওয়ার রাস্তার সঙ্গে যুক্ত। এলাকার ২৫-২৬টি গ্রামের মানুষের নিত্য যাতায়াতের রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। সকলের স্বার্থে রাস্তাটির কাজ অবিলম্বে শুরু করা হোক।
রাস্তার ধারে ইমারতি দ্রব্য
সলপ হাইরোড, মাকড়দহ, ডোমজুড়, বড়গাছিয়া, মুন্সিরহাট, রামচন্দ্রপুর, আমতা পর্যন্ত বাস রাস্তার ধারে ইট-বালি-স্টোন চিপস্ প্রভৃতি ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখেন ব্যবসায়ীরা। ওই সব রাস্তা দিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। দুর্ঘটনাও ঘটে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.