নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান থেকে চুঁচুড়ার বাসিন্দা অপহৃত এক যুবককে মালদহ থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। ধরা পড়েছে এক জন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবককে কলকাতা থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল অপহরণকারীরা।
একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করেন প্রসেনজিৎ অধিকারী। সেই কাজেই চলতি মাসের ২ তারিখ কলকাতায় গিয়েছিলেন। তারপর থেকে খোঁজ নেই। স্ত্রী ইতি অধিকারীর ফোনে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসতে শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়নি। আশঙ্কা ছিল, পুলিশ তল্লাশি শুরু করলে দুষ্কৃতীরা প্রসেনজিতের ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু বেশ কয়েক দিন পার হয়ে গেলেও ওই যুবককে ছাড়েনি দুষ্কৃতীরা। ৯ জানুয়ারি চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
তদন্তে নেমে মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান নির্ণয় করে পুলিশ জানতে পারে, মালদহের কালিয়াচক থানার গঙ্গারামপুর এলাকা থেকে ফোন আসছে ইতির মোবাইলে। মালদহের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে হুগলির পুলিশ। জানা যায়, গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা মহম্মদ কবিরুউদ্দিনের বাড়িতে প্রসেনজিৎকে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে দুই জেলার যৌথ বাহিনী ওই বাড়িতে হানা দেয়। উদ্ধার করা হয় অপহৃত যুবককে। গ্রেফতার করা হয়েছে কবিরুদ্দিনকে। যদিও অপহরণের মূল পাণ্ডা ফরিদ খান গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তিকে বুধবার চুঁচুড়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশেষ বিশ্বাস (সদর) বলেন, “অপহরণের ঘটনায় অন্য যারা যুক্ত, তাদের খোঁজ চলছে।”
কেন অপহরণ করা হল প্রসেনজিৎকে? তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, অপহৃত ওই যুবক যে নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করেন, সেখানে কর্মী সরবরাহ করতেন ফরিদ। কিন্তু তিনি যে সব কর্মীদের ওই সংস্থায় সরবরাহ করতেন, তাঁদের কাজ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সে জন্য ইদানীং ওই ব্যক্তির সরবরাহ করা লোকজনকে কাজে নিচ্ছিলেন না সংস্থার কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে দু’পক্ষের সম্পর্কের অবনতি হয়। প্রসেনজিৎকে অপহরণ করে গায়ের ঝাল মেটাতে চেয়েছিলেন ফরিদ। |