|
|
|
|
টু-জি নোট |
অর্থ মন্ত্রকের ২ কর্তা জড়ালেন সব মন্ত্রককেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে পি চিদম্বরমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা সরকারি নোট কেন্দ্রের সব মন্ত্রক মিলেই তৈরি করেছিল। আজ যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)-র সামনে হাজির হয়ে এ কথা জানালেন অর্থ মন্ত্রকের দুই শীর্ষকর্তা আর এস গুজরাল এবং আর গোপালন। তাতে অবশ্য রেহাই মেলেনি। বিরোধী দলের সদস্যদের জেরায় আজ বস্তুত নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে তাঁদের। কাল ফের তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়ে গত ২৫ মার্চের ওই নোটে বলা হয়েছিল, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম চাইলে দুর্নীতি রুখতে পারতেন। ওই নোট আগেই কেন সংসদীয় কমিটির সামনে পেশ করা হয়নি, তা নিয়ে আজ জেপিসি-র বৈঠকে গুরুদাস দাশগুপ্ত ও রবিশঙ্কর প্রসাদ প্রশ্ন তোলেন। অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা স্বীকার করেন, এটা তাঁদের ভুল হয়েছে। কার নির্দেশে এই নোট তৈরি হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গুরুদাস। অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তার কোনও রেকর্ড নেই।
অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন এ রাজার টেলিকম মন্ত্রক স্পেকট্রামের মূল্য নির্ধারণ করল, আজ তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রাক্তন অর্থসচিব তথা বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাওয়ের একটি চিঠি পেশ করেছেন গুরুদাস। টেলিকমসচিব ও ক্যাবিনেটসচিবকে লেখা ওই চিঠিতে সুব্বারাও স্পেকট্রাম বণ্টন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ করেছিলেন। রবিশঙ্কর আর একটি নোট পেশ করে দেখান, বেসরকারি সংস্থাগুলি নিজেদের মধ্যে লাইসেন্স কেনাবেচা করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা প্রকাশ করেছিলেন সুব্বারাও। বিরোধী নেতাদের হাতে অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের নাস্তানাবুদ হতে দেখে কংগ্রেস সদস্যরা মনে করছেন, সচিবরা যথেষ্ট তৈরি ছিলেন না। |
|
|
|
|
|