|
|
|
|
চাল সংগ্রহ বাড়াতে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ইতিমধ্যেই ধান সংগ্রহ নিয়ে সমস্যায় পড়েছে রাজ্য সরকার। তারই মধ্যে চাল-গম সংগ্রহে আরও জোর দিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচটি রাজ্যকে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী কে ভি টমাস। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই পাঁচ রাজ্যে খাদ্যশস্য সংগ্রহের অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। শস্য উৎপাদনও বাড়াতে হবে। দেশ জুড়ে খাদ্য সুরক্ষা আইন কার্যকর করতে গেলে, শস্য উৎপাদন এবং সংগ্রহ বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। বাকি চার রাজ্য হল বিহার, জম্ম্ু ও কাশ্মীর, অসম ও ঝাড়খণ্ড। খাদ্য সুরক্ষা বিল লোকসভায় পেশ করা হয়েছে। সেটি এখন স্ট্যান্ডিং কমিটির বিবেচনাধীন। সরকারের আশা, আসন্ন বাজেট অধিবেশনে বিলটি অনুমোদিত হবে। তা হলে ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর করতে চায় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘চাল সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থা চালু হলেও, খাদ্যশস্য সংগ্রহ সেই ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। অথচ পশ্চিমবঙ্গ ধান উৎপাদনে অগ্রণী রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম।’ মন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে সব রাজ্যে খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে, সেই সব রাজ্য নিজেরা চাল-গম সংগ্রহ করে, মজুত করে এবং নিজেদের এজেন্সির মাধ্যমে তা বণ্টন করে। পরবর্তী ক্ষেত্রে ওই খাতের পুরো টাকা রাজ্যকে দিয়ে দেয় কেন্দ্র।
টমাসের চিঠি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘বিমাতৃসুলভ’ আচরণের অভিযোগ করেছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর বক্তব্য, “ধান-চাল সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রের কাছে এক হাজার কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। রাজ্যের বেহাল আর্থিক অবস্থার কথা কেন্দ্রের জানা। তার পরেও কেন্দ্র সেই টাকা দেয়নি।” রাজ্যে গুদাম বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে অনুমতি এবং বাড়তি টাকাও চেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। তিনি জানান, শনিবার কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিবের নেতৃত্বে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিনিধি-সহ দল রাজ্যে আসছে। তাঁদের কাছে রাজ্যের এই মনোভাব ফের জানানো হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, কর্পোরেশনকে চলতি মরশুমে ৪ লক্ষ মেট্রিক টন লেভি চাল সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তা তাদের সংগ্রহ করতেই হবে। তারা আরও আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন লেভি চাল সংগ্রহ করলে ভাল হয়। |
|
|
|
|
|