|
|
|
|
এই প্রথম অসমে ‘টেট’ পরীক্ষা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
এই প্রথমবার অসমে টিচার্স এলেজিবিলিটি টেস্ট বা ‘টেট’ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হল। ৭২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৩,৫৬,৯১৪ জন। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসেন ৩,২৪,৭৯৩ বসে। ২৫ জানুয়ারি ফল ঘোষণা হবে। স্ক্যানার মেশিনে যাচাই হবে উত্তরপত্র। যাচাই কক্ষ ও উত্তরপত্র রাখার ঘরে ২৪ ঘণ্টা সিসি টিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরপেক্ষ পরিদর্শকরা পুরো প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করবেন। শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া পরীক্ষার্থীদের কাছে মার্কশিট পৌঁছে যাবে। বাকিদের নম্বর ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে।
এই পরীক্ষায় টোকাটুকি রুখতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরিদর্শকদের পাশাপাশি, ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে নজর রাখা হয়েছিল। মোট ২০টি নকল করার অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টিই ধুবুরিতে। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে মিটলেও পরিদর্শকদের ভাতা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ মিলেছে।
হিমন্ত জানান, মোট ৬৮ হাজার পদ এ মুহূর্তে খালি। পাশ করার পরে ১৮ হাজার যুবক-যুবতীকে স্থায়ী শিক্ষকপদে নিযুক্ত করবে শিক্ষা দফতর। বাকিদের চুক্তির ভিত্তিতে নেওয়া হবে। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা থোক বেতন পাবেন। যে কোনও সময় তাঁদের নিয়োগ বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে পারে। মার্চ থেকে জেলা পর্যায়ের ইন্টারভিউ শুরু হবে।
পরিদর্শকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “দুই বেলা যাঁরা পরিদর্শক ছিলেন তাঁরা ৮০০ টাকা ও এক বেলা কাজ করা পরিদর্শকরা ৪০০ টাকা পাবেন। কিন্তু, বহু স্কুল থেকে অভিযোগ এসেছে প্রধান শিক্ষকরা পরিদর্শকদের মাত্র ২০০টাকা দিয়েছেন।” মন্ত্রী চান, তাঁদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হোক। |
|
|
|
|
|