দেশের আর্থিক উন্নয়নই বিশ্বে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে
ক জন নোবেলজয়ী, অন্য জন ‘হাউস অফ লর্ডস’-এর সদস্য। ‘এশিয়া রাইজিং’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ভাষণ দিতে এই দুই বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ গুয়াহাটিতে হাজির। গত কাল মাছখোয়ার প্রাগজ্যোতিষ প্রেক্ষাগৃহে, বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষিতে এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে ভারত ও চিনের ভূমিকার উপরে আলোচনায় অংশ নেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যলায়ের অর্থনীতির অধ্যাপক, নোবেলজয়ী যোশেফ স্টিগলিজ। মঞ্চে হাজির অন্যজন অর্থনীতিবিদ, ‘লর্ড’ মেঘনাদ দেশাই।
এঁরা দু’জনেই এক মত: গত কয়েক দশকে ভারত ও চিন এশিয় অর্থনীতির নিয়ন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, স্ব-স্ব দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে অর্থনীতির বিকাশ কতখানি হয়েছে? অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্ব বাজারের অর্থনীতিতে বড় খেলোয়াড় হলেও, দু’টি দেশের ভিতরেই দারিদ্র্য ও বৈষম্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাঁদের মতে, এটা সুস্থ অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্মণ নয়। তাঁদের কথায়, “দু’টি দেশকেই সবার আগে নিজেদের মানুষের চাহিদাপূরণে নজর দিতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হলে তবেই তাকে সার্বিক অর্থনৈতিক বিকাশ বলা চলে। পশ্চিমী দেশ ও প্রাচ্যের মানুষের মাথাপিছু আয়ের ব্যবধানও কমাতে হবে। বাড়াতে হবে সঞ্চয়ের অভ্যাস।” তবে স্টিগলিজ ও লর্ড মেঘনাদের আশা, ইউরোপ ও আমেরিকার ভঙ্গুর অর্থনীতির প্রেক্ষিতে করে বিশ্ব অর্থনীতির বাজারে এই দুই দেশ তাদের দখল বাড়াতে পারে।
অসমকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশপথ হিসেবে দেখিয়ে বিশেষজ্ঞরা এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদের পূর্ণ ও বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহারের উপরে জোর দেন। আলোচনা সভায় উপস্থিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণগগৈ বলেন, “স্থায়ী ও সুস্থ অর্থনৈতিক বিকাশ চাইলে, সবার আগে গ্রাম্য অর্থনীতির উন্নতি প্রয়োজন। অসমের ক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগের বিকাশেই সরকার অগ্রাধিকার দেবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.