|
|
|
|
উত্তরপ্রদেশে উমাকে এগিয়ে দিয়ে জোড়া চাল গডকড়ীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
উত্তরপ্রদেশের ওবিসি ভোটব্যাঙ্ক কব্জা করতে এমনিতেই তৎপর বিজেপি নেতারা। এমনকী দুর্নীতির অভিযোগে বসপা থেকে বহিষ্কৃত ওবিসি নেতা বাবুসিংহ কুশওয়াহাকে দলে এনে বিতর্কও বাড়িয়েছেন নিতিন গডকড়ী। কিন্তু হিন্দুত্বের রাজনীতি থেকেও যে তাঁরা সরছেন না, তা-ও বুঝিয়ে দিলেন বিজেপি সভাপতি। দলে ফেরার পরে আজ প্রথম বার সর্বভারতীয় স্তরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি হাজির করালেন উমা ভারতীকে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যিনি একাধারে হিন্দুত্বের ‘মুখ’ এবং ওবিসি নেত্রী। |
|
সম্প্রতি শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ওবিসি কোটায় সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তার পর কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী সলমন খুরশিদ উত্তরপ্রদেশে দাঁড়িয়েই এই সংরক্ষণ আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন। নির্বাচন কমিশন অবশ্য ভোট-পর্বের মধ্যে পাঁচ রাজ্যে সংরক্ষণ কার্যকর করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মত, কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তাসের মোকাবিলা করতেই হিন্দুত্বের পাল্টা তাস খেলেছে বিজেপি। উমা আজ বলেন, “কংগ্রেস কি ভারতে আরও একটি বিভাজন করতে চাইছে? বিজেপিও যেখানে হিন্দু রাষ্ট্রের কথা বলছে না, কংগ্রেসই তো সেই পথে এগোচ্ছে। ইসলাম মুসলমানদের মধ্যে ভেদাভেদের অনুমতি দেয় না। তাই মুসলিম নেতাদেরও এই সংরক্ষণের বিরোধিতা করা উচিত। বিজেপি তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছে।”
যদিও উগ্র হিন্দুত্বের পথে আর হাঁটছে না বিজেপি। উমাও তাঁর বক্তব্যে ‘নরম’ হিন্দুত্বেই সওয়ার। লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো অনেক নেতাই তাঁকে ভোটে বিজেপির ‘মুখ’ করার দাবি তুলেছেন। আজ সেই উদ্দেশ্য যেমন সাধন হল, তেমনই উত্তরপ্রদেশে বিজেপি যে উচ্চবর্ণ ও ওবিসি দুই ভোটব্যাঙ্কের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে, তা-ও বোঝানো গেল। বরং খুরশিদের মন্তব্যে কংগ্রেস নেতৃত্বই কিছুটা অস্বস্তিতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক সদস্য ঘরোয়া স্তরে বলেন, “সংখ্যালঘু মন্ত্রী হয়ে চড়া সুরে সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করা উচিত হয়নি সলমনের। ভোটপর্বে সংখ্যালঘু মন্ত্রীর এ ধরনের কথা বলার ওজন অনেক বেশি।” |
|
|
|
|
|