|
|
|
|
জয়দেব মেলা কমিটির সদস্যপদ নিয়ে বিতর্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইলামবাজার |
সামনেই জয়দেব মেলা। সরকার অধিগৃহীত এই মেলা পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে কমিটি বা সাংস্কৃতিক উপকমিটি। কিন্তু ইতিমধ্যেই সদ্য গড়া কমিটি থেকে বাদ পড়েছে ওই এলাকার তিনটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্রের সম্পাদক, সাংস্কৃতিক কর্মী-সহ কয়েকজনের নাম। যা নিয়ে অসম্তোষ ছড়িয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, “আমাদের নাম অকারণে বাদ দিয়ে শাসকদলের কিছু নেতার নাম ঢোকানো হয়েছে, যা শাসকদলের আধিপত্য বিস্তারের নামান্তর।” জয়দেব মেলার মূল কমিটি থেকে বাদ পড়ে জয়দেব অঞ্চল সংস্কৃতি পরিষদ ইতিমধ্যেই তাদের ক্ষোভের কথা জেলাশাসককে জানিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮১ সাল থেকে অধিগৃহীত এই মেলার জন্য কমিটি গঠনের দিন ছিল ২৮ ডিসেম্বর এবং তা গঠনের জন্য বৈঠক হয়েছিল বোলপুরে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে। যিনি পদাধিকার বলে এই মেলার সম্পাদক। কিন্তু ওই বৈঠকে ডাকাই হয়নি বাদ পড়া সদস্য বা সংস্থাকে। জয়দেব অঞ্চল সংস্কৃতি পরিষদের সদস্যরা এবং এলাকার তিনটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকের দাবি, “এ ভাবে সভায় না ডেকে মূল ও উপকমিটি থেকে বাদ দেওয়াটা অপমানজনক। স্থানীয় জয়দেব বার্তার সম্পাদক সুভাষ কবিরাজ, জয়দেব অঞ্চল সংস্কৃতি পরিষদের সদস্য তথা সংস্কৃতি কর্মী শান্তি রজকেরা বলেন, “সরকারি ভাবে এ মেলা অধিগ্রহণ করার আগে থেকেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলাম। তা ছাড়া আমরা যেহেতু কোন রাজনৈতিক দলের লোক নই। তাই এ ভাবে বাদ পড়ায় ভীষণ দুঃখ পেয়েছি।” শান্তিবাবুদের প্রশ্ন, যেখানে শাসকদলের কিছু নেতা অর্ম্তভুক্ত হয়েছেন কমিটিতে সেখানে আরও কয়েকজন থাকলে ক্ষতি কি ছিল?
মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “সুষ্ঠু ভাবে মেলা পরিচালনার জন্যই কমিটিতে কিছু স্থানীয় মানুষ ও সংস্থাকে রাখা হয়। কিন্তু কমিটিতে কারা থাকবেন বা করা থাকবেন না এ বিষয়ে কোন ‘রেজেলিউসন’ নেই বা এটা কোন ‘রেজিস্টার্ড বডিও’ নয়। তাই কিছু পরিবর্তন তো হতেই পারে। আর ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতিই যেহেতু মেলা পরিচালনার মূল দায়িত্ব নিয়ে থাকে তাই কমিটি গঠনে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু রদবদল করা হয়েছে। গত বারের তুলনায় কমিটির সদস্য সংখ্যা কমানো হয়েছে। এর বেশি আমি কিছু বলব না।”
ইলামবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি জাফারুল ইসলাম বলেন, “এটা সরকারি মেলা এবং সরকার বদলেছে। তাই গত ত্রিশ বছর যাঁরা সুযোগ পেয়ে এসেছেন শুধু তাঁরাই সুযোগ পাবেন সেটা নাও হতে পারে। বিগত সরকারের আমলে তো এমনটাও তো হয়েছে যে মেলা পরিচালনায় বেশ কিছু যোগ্য ব্যক্তি সুযোগ পাননি। এখন তাঁরা সুযোগ পেলে ক্ষতি কি?” তাঁর দাবি, “জয়দেব বার্তার সম্পাদককে কমিটিতে রাখার কথা বলা হয়েছিল। কেন বাদ গিয়েছেন দেখব।”
এলাকার আর একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা চন্ডীদাসের সম্পাদক আল আফতাফ বলেন, “এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা কুমুদ কিঙ্কর বহু বছর মেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমিও বহু বছর জড়িয়ে রয়েছি এর সঙ্গে। যেহেতু এটা সরকারি মেলা তাই ওঁরা যা ভালো বুঝেছেন তাই করেছেন।” |
|
|
|
|
|