বিডিও অফিস ভাঙচুর ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আরএসপির প্রথম সারির চার নেতার জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুজয় বল ওই চার আরএসপি নেতার জামিনের আবেদন নাকচ করেন। আজ, শুক্রবার মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক। ওই চার আরএসপি নেতা হলেন দলের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও তপন জোনাল সম্পাদক বিমল তরফদার, তপন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ও আরওয়াইএফের জেলা সভাপতি আনিসুর রহমান, তপন উত্তর লোকাল কমিটির সম্পাদক ইন্দ্রনীল ঘোষ এবং দক্ষিণ লোকালের সম্পাদক অসিত ধর। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর তপন ব্লকে বিডিও’র দফতরের সামনে আরএসপির সংযুক্ত কিসান সভার নেতৃত্বে বিক্ষোভ আন্দোলন হয়। বিডিও অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি ২ পুলিশ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। চার নেতা হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ। এ দিন আদালতে অভিযুক্ত চার নেতাকে ফেরার দেখিয়ে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এ দিনই এই ৪ নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সরকারি আইনজীবী দেবাশিস মজুমদার বলেন, “বিচারক তাঁদের জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।” আদালতে যান আরএসপির জেলা সম্পাদক তথা বালুরঘাটের সাংসদ প্রশান্ত মজুমদার, শহর সম্পাদক বিমল সরকার-সহ জেলা নেতারা। প্রশান্তবাবুর অভিযোগ, “রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে নেতাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। ভাঙচুর কিংবা মারধরের ঘটনা হয়নি।” দলের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বিমল সরকার অভিযোগ করেন, “ঘটনার পরে কোনও নেতা ফেরার ছিলেন না। অথচ পুলিশ তাদের পলাতক দেখিয়ে ১৪ দিন পর চার্জশিট জমা দিল। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে।” তপন ব্লক কংগ্রস সভাপতি তথা আইনজীবী রতন সরকারের অভিযোগ, “একই দিনে পুলিশের মামলাটির চার্জশিট দাখিলের পাশাপাশি অভিযুক্তদের আদালতে আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্য আদালতের কাছে স্পষ্ট হয়েছে।” এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে তপন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, “ঘটনার দিন গোলমালের সময়ে আমরা কেউই বিডিও অফিসে উপস্থিত ছিলাম না।” |