সদ্য সিপিএমের জোনাল সম্পাদকের পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক নেতার বিরুদ্ধে বোমা-গুলি নিয়ে হামলার অভিযোগ আনল কংগ্রেস। অভিযুক্ত নেতা অবশ্য তা উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
বুধবার রাতে মালদহের ইংরেজবাজার থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ কলোনিতে সরোজ নাথ নামে এক কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি লক্ষ করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোল উদ্ধার করেছে। মিলেছে বোমার দাগও। কেউ হতাহত হননি।
কংগ্রেসের অভিযোগ, মাসখানেক আগে সিপিএমের ইংরেজবাজার জোনাল সম্পাদকের পদ ছেড়ে আসা, বর্তমানে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক জয়ন্ত দাসের নেতৃত্বেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। জয়ন্তবাবুর পাল্টা অভিযোগ, সোমবার রাতে স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর আশিস কুণ্ডুর নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে বোমাবাজি করা হয়। তা ঢাকতেই পাল্টা অভিযোগ করা হচ্ছে। মালদহের জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “দু’টি অভিযোগেরই তদন্ত হচ্ছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আশিসবাবুর বক্তব্য, “আগে সিপিএমে থেকে জয়ন্তবাবু ও তাঁর অনুগামীরা এলাকায় তোলাবাজি ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছেন। এখন তিনি হাওয়া বুঝে তৃণমূলে ভিড়েছেন। তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। জয়ন্তবাবু, তাঁর ছেলে ও তাঁর ভাইপোর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।” জয়ন্তবাবু পাল্টা বলেন, “আমার বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগে ওই কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং তাঁর পাঁচ অনুগামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় ওঁরা আমার বাড়িতে বোমা মারে। মামলাকে ঘোরানোর জন্যই পাল্টা হামলার গল্প ফেঁদেছে কংগ্রেস কাউন্সিলারের অনুগামীরা।”
জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরীর অভিযোগ, “কংগ্রেসকে দুর্বল করতে সিপিএমের সমাজবিরোধীদের দলে নিচ্ছে তৃণমূল। তাদের দিয়ে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। ওই রাতে স্থানীয় কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ তথা কংগ্রেস কর্মী সরোজ নাথের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশকে দোষীদের ধরতে বলা হয়েছে।” তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র শুধু বলেন, “পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই হামলাকারীদের রং বা দল না দেখে দোষীদের গ্রেফতার করতে বলেছি।” |