ওয়ালশ হাসপাতাল
আগুন প্রতিরোধের কর্মশালাতেই
বিপত্তি, আহত এক দমকলকর্মী
গুন লাগলে দমকল আসার আগেই কী ভাবে তা নেভানোর চেষ্টা করবেন চিকিৎসক, নার্স বা অন্য কর্মীরা সেই নিয়েই হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ চলছিল। তার মধ্যেই হঠাৎ বিপত্তি। ফায়ার এক্সটিংগুইশার (অগ্নি নির্বাপণ)-এর ঢাকনা খুলে সজোরে ছিটকে লাগল এক দমকলকর্মীর চিবুকে। রক্তাক্ত হলেন তিনি। সেলাই করতে হল ক্ষতস্থানে। ঘটনাস্থলে তখন দাঁড়িয়ে মহকুমাশাসক। উপস্থিত হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট, চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাকর্মী এবং উৎসুক জনতা। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকালের শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের।
মহকুমাশাসক (শ্রীরামপুর) মুক্তা আর্য বলেন, “খুব ছোট একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক দমকল কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। ফায়ার এক্সটিংগুইশার সিলিন্ডার তৈরি করার ত্রুটির কারণেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিষয়টি দমকলের অফিসারদের তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।”
কলকাতার আমরি হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। ওই ঘটনার পরে কলকাতা তো বটেই, জেলা স্তরেও হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর দিকে নজর দেওয়া হয়। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে প্রাথমিক আগুন মোকাবিলার পাঠ দিতে যান শ্রীরামপুর দমকল কেন্দ্রের অফিসার এবং কর্মীরা।
মহকুমাশাসক নিজে সেখানে যান। ছিলেন হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত সান্যাল। প্রথমে হাসপাতাল কর্মীদের গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন অফিসারেরা। আগুন লাগলে ঘাবড়ে না গিয়ে কী করণীয়, তা বোঝানো হয়। কী করে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করতে হয় তা-ও দেখিয়ে দেওয়া হয়।
ছবি: প্রকাশ পাল।
এর পরেই হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়। একটি টিনের পাত্রে আগুন ধরিয়ে তা নেভানোর কায়দা দেখাতে থাকেন দমকলকর্মীরা। দ্বিতীয় সিলিন্ডার খুলতে যেতেই বিপত্তি বাধে। সিলিন্ডারের মুখের ধাতব ঢাকনা ছিটকে এসে লাগে ফায়ার অপারেটর দেবরাজ সাঁতরার থুতনিতে। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে, আগুন নেভানোর কাজ আর হয়নি। ওই ঘটনায় অনেকেই হতচকিত হয়ে যান। দমকলের কর্তারা অবশ্য ওই ঘটনাকে খুব গুরুত্ব দিতে নারাজ।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে শ্রীরামপুর দমকলের (এফ ডিভিশন) ওসি সমরনাথ চক্রবর্তী বলেন, “একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এমনটা হয়েছে। তবে, এতে কাজের কোনও সমস্যা হয়নি।” দমকলকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, কোনও কারণে ওই ঢাকনা আলগা হয়ে থাকতে পারে। লোকজনকে বোঝানোর সময় অনেকে সিলিন্ডারে হাত দেন। সে সময়েও এমনটা হতে পারে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দুপুরে একটি আলোচনাচক্র হয় সেখানে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দমকল আসার আগে কী কী করবেন হাসপাতাল কর্মীরা, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। দিন কয়েক আগে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা হাতেকলমে দেখাতে গিয়েও বিব্রত হতে হয়েছিল দমকল কর্মীদের। সে দিন দু’টি সিলিন্ডার থেকে অগ্নি নির্বাপক গ্যাস বের করতেই পারেননি কর্মীরা। তাতে হাসাহাসি হয় বিস্তর। আগুন নেভানো দেখাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। ইনসেটে, জখম কর্মী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.