টুকরো খবর
চা বাগানে জ্বরে মৃত্যু, সন্দেহ এনসেফ্যালাইটিস
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বানারহাট শান্তিপাড়া চা বাগানের এক কিশোরীর। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। চিকিৎসকদের সন্দেহ, এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা কিশোরীর নাম রীতা ওঁরাও (১৬)। বুধবার সকালে তাঁকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভোগার পরে বুধবার তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ থাকায় মৃতার রক্ত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো গিয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “সদর হাসপাতালে বুধবার রাতে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জেলার আরও এক বাসিন্দা এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত। এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে জেলার বিভিন্ন ব্লকে সচেতনতা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” সম্প্রতি জেলার ঘুঘুমালির এক কিশোরও এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকার বাসিন্দা কার্তিক দাস নামে ওই কিশোর বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। তার রক্তে এনসেফ্যালাইটিসের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, মূলত নোংরা পরিবেশ থেকেই ওই রোগের সংক্রমণ হয়। জাপানি এনসেফ্যালাইটিস নামে এক রোগে সাধারণত শুয়োরের দেহে সংক্রমণ হয়। কিউলেক্স প্রজাতির এক মশার মাধ্যমে এই রোগ মানুষের শরীরে সংক্রমণের প্রবণতা থাকে। মানুষের দেহে রোগ সংক্রমণের হলে প্রথমেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক স্তরে চিকিৎসায় রোগ নিরাময় সম্ভব বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “অনেক সময়ে মস্তিকে সংক্রমণ হয়ে গেলে মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হয়।” জেলার চা বাগান এলাকাগুলিতে অপরিচ্ছন্ন জমা জলে মশার বংশবৃদ্ধি এড়াতে প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শিশুমৃত্যুর রিপোর্ট তলব মুখ্য স্বাস্থ্যকর্তার
গর্ভস্থ শিশু মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট চাইল বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মৃত শিশু জন্মের পরে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালের এক প্রসূতি অভিযোগ করেন, লেবার রুমে আয়ারা তাঁর পেটে ‘চাপড়’ মারাতেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালের এই ঘটনার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বৃহস্পতিবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ দিন্দা বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ দিন ওই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছে। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ওই সদ্যোজাতের মৃত্যুর জন্য নার্স ও চিকিৎসকের গাফিলতি ছিল না। তবে লেবার রুমে আয়ারা ছিল কি না তা পরিষ্কার নয়। শীঘ্রই বিস্তারিত ভাবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পাঠাতে বলেছি।” হাসপাতাল সুপার রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট শীঘ্রই পাওয়া যাবে।” মৃত শিশুটির দেহের এ দিন ময়নাতদন্ত করা হয়। সুপার জানান, শিশুটির বাবা রঞ্জিত ঘোষের ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তাই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য বিষ্ণুপুরের রাধানগরের বাসিন্দা সুলেখা ঘোষ নামের ওই প্রসূতিকে বুধবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর স্বামীর অভিযোগ, “রাত ১১টায় প্রসব যন্ত্রণা না ওঠা সত্ত্বেও আয়ারা তাঁকে লেবার রুমে নিয়ে যান। বুধবার সকালে তাঁরা খবর দেন, স্ত্রী মৃত সন্তানের জন্ম দিয়েছে। পরে স্ত্রীর কাছে জানতে পারি, আয়ারা তাঁর পেটে ‘চাপড়’ মেরেছিল। লেবার রুমে আয়ারা ঢুকলো কী করে?” বুধবার তিনি হাসপাতাল ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।

হাসপাতালে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা দেখতে কমিটি
কলকাতা ও হাওড়ার বড় বড় সরকারি হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা যাচাই করতে কমিটি গড়ছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার মহাকরণে বিদ্যুৎমন্ত্রীর ঘরে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সব হাসপাতালে বিদ্যুৎ-সংযোগ দিয়েছে সিইএসসি এবং বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম। ভিতরের ব্যবস্থা দেখভাল করে পূর্ত দফতর। বৈঠকে উপস্থিত সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিরুদ্ধ বসু পরে বলেন, “সরবরাহে বিঘ্ন বা বিপর্যয় মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা হয়েছে।” কমিটির নেতা এবং সদস্য-সংখ্যা নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। বৈঠকে পূর্ত (ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ অফিসারেরাও উপস্থিত ছিলেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.