ঝুঁকি নিয়েই ফের চালু বিশুদ্ধানন্দ হাসপাতাল
ট্রেড লাইসেন্স নেই। নেই ফায়ার লাইসেন্সও। হাসপাতালের প্রবেশপথও এত সরু, যে দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ দ্রুত বেরোতেও পারবেন না। এমনই নানা ঝুঁকির কারণে আমরি কাণ্ডের পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিশুদ্ধানন্দ হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষই সেই সময়ে হাসপাতাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পুরনো অবস্থার এক চুলও পরিবর্তন না হওয়া সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার ফের রোগী ভর্তি শুরু হল এই হাসপাতালে। ঝুঁকি জেনেও অনুমতি দিল দমকল। সমর্থন করলেন স্থানীয় বিধায়ক।
স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, এ ভাবে সাধারণ মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনও হাসপাতাল চলতে পারে না। স্বাস্থ্য দফতরের প্রশাসনিক বিভাগের সহ অধিকর্তা হিমাদ্রি সান্যাল বলেন, “এ ভাবে হাসপাতাল চালানো বেআইনি। যথাযথ ব্যবস্থা চালুর আগে রোগী ভর্তি করা যাবে না।” কিন্তু দিব্যি তার পরেও রোগী ভর্তি শুরু হয়ে গিয়েছে! বিষয়টিকে সমর্থন করে স্থানীয় বিধায়ক স্মিতা বক্সী বলেন, “প্রায় ১০০ বছরের পুরনো হাসপাতাল। এলাকার বহু মানুষ এর উপর নিভর্রশীল। হাসপাতাল বন্ধ থাকায় তাঁদের খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। ফায়ার লাইসেন্স না থাকায় ওঁরা ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করতে পারছিলেন না। সাধারণের চিকিৎসার কথা ভেবে আমরা হাসপাতালকে রোগী ভর্তি করার অনুমতি দিয়েছি।”
দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান এ ব্যাপারে বলেন, “দমকল দফতর নকশা পরিবর্তনের পরামর্শ দিলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা করতে হবে এবং যাবতীয় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিতে হবে। ওরা ইতিমধ্যেই কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উফযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেব।” কিন্তু তত দিন পর্যন্ত রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টি কে নিশ্চিত করবেন? হাসপাতালের সভাপতি পি এল কেডিয়া বলেন, “ফায়ার লাইসেন্সের জন্য আমরা শীঘ্রই কাগজপত্র জমা দেব। দমকল মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। ফায়ার লাইসেন্স পেয়ে গেলে ট্রেড লাইসেন্সও দ্রুত পেয়ে যাব।”
হাসপাতাল ঘুরে অবশ্য দেখা গিয়েছে, জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রশাসনিক দফতরের পাশেই ডাঁই করে রাখা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। ছ’তলায় ওঠার সিঁড়িও এতটা অপরিসর যে দু’জনের বেশি ওঠা বা নামা যায় না। রয়েছে তিনটি লিফট, যার একটি কিছু দিন আগে ভেঙে পড়েছিল। হাসপাতালের ঠিক বাইরেই মাকড়সার জালের মতো বিদ্যুতের তার ঝুলছে। অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা বলতে স্রেফ মিটার রুমের পাশে দু’টি এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারের পাশে দু’টি ছোট নির্বাপক যন্ত্র। এরই ওপরে ভরসা করে পের শুরু হল ১৫১ শয্যার এই বেসরকারি হাসপাতাল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.