নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে নেপাল থেকে ৩ কিশোরীকে এনে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠল এক ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে শালবাড়ি থেকে ওই ৩ কিশেোরীকে উদ্ধার করে সুকনা ফাঁড়ির পুলিশ। অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দিয়ে অশ্লীল ছবির ক্যাসেট, ডিভিডি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই ব্যক্তি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত রয়েছে। প্রধাননগর থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও কিশোরীদের উপর অত্যাচারের মামলা রুজু করা হয়েছে। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার আনন্দ কুমার বলেন, “উদ্ধার হওয়া ৩ কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে নেপালের ঝাপা থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে এনে নিজের বাড়িতে কাজের জন্য রাখে ওই ব্যক্তি। মাস ছয়েক আগে ফের তিনি নেপালে যান। কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সেখান থেকে আরও ২ কিশোরীকে নিয়ে আসেন শালবাড়িতে। এদের মধ্যে এক জনের বয়স ১৪ বছর এবং অপর জনের বয়স ১২ বছর। মাস দুয়েক থেকে তাদের তিন জনের উপরে শুরু হয় অত্যাচার। কিশোরীরা পুলিশকে জানিয়েছে, ওই বাড়িতে একা থাকত ওই ব্যক্তি। মাঝে মধ্যেই অশ্লীল ছবি দেখত সে। তাদেরকে ওই ছবি দেখতে বাধ্য করত। তারা রাজি না হলে মারধর করা হত। বাড়ির সমস্ত কাজ ৩ জনকে দিয়ে করানো হত। বিনা কারণেও তাদেরকে মারধর করা হত। ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে প্রায় এক মাস ধরে ওই ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। কয়েক দফায় কিশোরীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়ার চেষ্টা করলে তাদের আটকে রাখা হয়। বুধবার গভীর রাতে সুযোগ বুঝে ৩ জন বাড়ি থেকে পালিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সমস্ত ঘটনা জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। পুলিশ ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিলে সে পালিয়ে যায়। একসঙ্গে ৩ জন কিশোরীকে কেন ওই বাড়িতে রাখা হল তা নিয়েও তদন্ত করছে পুলিশ। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিযুক্তের দার্জিলিংয়েও বাড়ি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।” |