আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক-সহ দুই দুষ্কৃতী গ্রেফতার |
গুলিভর্তি একটি দোনলা বন্দুক এবং মাদক-সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার গ্রাম থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক ও সোনার দোকানে ডাকাতি, ছিনতাই এবং আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা আদায়ের একাধিক অভিযোগ আছে পুলিশের খাতায়। বসিরহাটের এসডিপি ও আনন্দ সরকার জানান, “গোপনসূত্রে খবর পেয়ে লতারবাগানের বাসিন্দা শেখ সহিদ ও পাইকপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল করিমকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের একজনের কাছ থেকে গুলিভর্তি একটি দোনলা বন্দুক এবং অন্যজনের কাছ থেকে ৩ কিলোগ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।” বৃহস্পতিবার ধৃত দু’জনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের চোদ্দো দিনের জন্য জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে অশোকনগরের একটি ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাদুড়িয়ায় একটি সোনার দোকানেও হামলা করে লুঠপাট চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, হাড়োয়ার লতারবাগান এলাকার বাসিন্দা শেখ সহিদ ওই ঘটনার সাথে জড়িত। বিশেষ সূত্রে পুলিশ আরও জানতে পারে সহিদ ইদানীং আবার মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। মাদক বিক্রির জন্য সে লতারবাগান এলাকার একটি শ্মশানে আসবে। আগে থেকে খবর পেয়ে হাড়োয়া থানার ওসি সুমিত মণ্ডল সাদা পোষাকের বাহিনী নিয়ে রাত ১০টা নাগাদ সহিদকে গ্রেফতার করেন। অন্যদিকে, এ দিন ভোর রাতে হাড়োয়া থানার পুলিশ পাইকপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আব্দুল করিমকে গ্রেফতার করে। করিমের নামে একাধিক তোলাবাজি, ছিনতাই সহ নানা দুষ্কর্মের অভিযোগ ছিল। করিম ধরা পড়ার পর পুলিশ তাকে জেরা করে একটি দোনলা বন্দুকের খোঁজ পায়। এর পরে পুলিশ করিমের পাইকপাড়ার বাড়ি থেকে গুলিভর্তি দোনলা বন্দুকটি উদ্ধার করে। ধৃতদের সাথে আর কারা কারা জড়িত এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
|
আইনজীবী নিগ্রহের ঘটনায় মহিলা-সহ ধৃত ২ |
আইনজীবী ও মুহুরি নিগ্রহের ঘটনায় এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল হাসনাবাদ থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বিশ্বনাথ দাসকে এখনও অধরা। আদালত সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ধৃতদের বসিরহাটের এ সি জে এম এর আদালতে তোলা হলে তাদের পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। বিচারক গৌতমকুমার সিংহ ধৃতদের ১৪ দিনে জেল হাজতের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, আইনজীবী নিগ্রহে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের গড়িমসির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বসিরহাট আদালতে চত্বরের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। বসিরহাটের দেওয়ানি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অমিত মজুমদার বলেন, “মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন, বিক্ষোভ এবং কর্মবিরতি চলতেই থাকবে।” বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার জানান, অভিযুক্ত সকলকেই গ্রেফতার করা হবে। এ দিকে এই ঘটনায় বিশ্বনাথবাবুকে গ্রেফতার করা হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্মচারী ইউনিয়ন। ইউনিয়নের নেতা অনন্তকুমার বিশ্বাস বলেন, “দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সামান্য একটা ব্যাপার। দু’পক্ষই আদালতে গেছে আইনের সুফল পেতে। এই পরিস্থিতিতে কেন আইনজীবী ও মুহুরি নিগ্রহের ঘটনা ঘটল তা আগে দেখতে হবে। তদন্ত না করে যে ভাবে বিশ্বনাথবাবুকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। বিনা দোষে দফতরের কোনও কর্মী যদি শাস্তি পান, তাহলে আমরা আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।”
|
সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপিতে |
মন্দিরবাজারের প্রাক্তন বিধায়ক নিকুঞ্জ পাইক-সহ সাত জন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম ছেড়ে বৃহস্পতিবার বিজেপি-তে যোগ দিলেন। তাঁদের মধ্যে আয়ুব মোল্লা নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক পঞ্চায়েত সদস্যও আছেন। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের অবশ্য দাবি, ওই সাত জনের সঙ্গে প্রায় তিন হাজার সিপিএম কর্মী তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে, মহিষাদল রাজবাড়ির উত্তরাধিকারী শৌর্য গর্গ এ দিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। কিন্তু, নিকুঞ্জবাবুরা এত দিন সিপিএম কর্মী হিসাবে বিজেপি-কে ‘সাম্প্রদায়িক দল’ বলতেন। রাতারাতি সেই মূল্যায়ন বদলে গেল? নিকুঞ্জবাবুর জবাব, “বিজেপি-কে সাম্প্রদায়িক বলে ভুল করেছিলাম। বিজেপি-ই ভবিষ্যৎ।” কিন্তু, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের দাবি, নিকুঞ্জবাবুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সে বিষয়ে নিকুঞ্জবাবু বলেন, “প্রমাণ দিক! দুর্নীতি করে থাকলে সিপিএম আমায় এত দিন বহিষ্কার করেনি কেন?” শৌর্যবাবু বলেন, “নতুন সরকারের সাত মাসে উন্নয়ন না দেখে বিজেপি-তে এলাম।”
|
ব্যস্ত রাস্তায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সকালে, টিটাগড়ের জি সি রোডে। মৃতের নাম আতিয়ার ওরফে খোকন (৪২)। পুলিশ জানায়, আতিয়ার জমি-বাড়ি ও ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা করতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরবাইকে আসা তিন দুষ্কৃতীর এক জন আতিয়ারকে লক্ষ করে দু’টি গুলি করে। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তদন্তকারীরা জানান, আতিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কিছু দিন আগে আর এক ব্যবসায়ীকে খুনের সুপারি দেন তিনি। আতিয়ার খুনে সেই ব্যবসায়ীর হাত আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে খুন ও অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘিঞ্জি শিল্পাঞ্চলের সুযোগ নিয়ে অপরাধীরা আশ্রয় নেয়। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপও কড়া নজরদারি করছে।” বেলঘরিয়ার এসডিপিও জ্যোতির্ময় রায় বলেন, “ঘটনার পরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তদন্ত চলছে।” |