খোঁড়া বাদশার বাড়ি থেকে কিছু গুঁড়ো রাসায়নিক উদ্ধার করল সিআইডি। চোলাইয়ে যা অতিরিক্ত পরিমাণে মেশানোর ফলেই সংগ্রামপুরে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান। নেশা বাড়ানোর জন্যই চোলাইয়ে মেশানো হত ওই রাসায়নিক। সিআইডি-র এক কর্তা জানান, রাসায়নিকটি পরীক্ষার জন্য রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এর নাম জানা যাবে।
বিষ-মদ কাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা এখনও পলাতক। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী সাকিলা ওরফে নূরজাহানকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সাকিলাকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডি-র গোয়েন্দারা মগরাহাটের পশ্চিম বিলন্দপুরে খোঁড়া বাদশার বাড়িতে যান। গোয়েন্দাদের দাবি, বাড়ির কোথায় ওই রাসায়নিক রাখা ছিল তা দেখিয়ে দেয় সাকিলাই।
গোয়েন্দাদের দাবি, জেরার মুখে সাকিলা জানিয়েছে, পশ্চিম বিলন্দপুরের ওই বাড়িতেই চোলাই মদের ড্রামে সাদা রংয়ের ওই রাসায়নিকটি মেশানো হত। প্রতিদিন ৪০ লিটারের দশটি ড্রাম খোঁড়া বাদশার বাড়িতে আসত। বাড়ির পিছন দিকে বড় মাপের দু’টি ঘর আছে। সেই ঘরেই রাসায়নিক মেশানোর কাজ চলত। সাকিলা গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, রাসায়নিক মেশানোর পরে চোলাই বেশ গরম হয়ে উঠত। উঞ্চতা মাপা হত থার্মোমিটার দিয়ে। গোয়েন্দারা এ দিন ওই বাড়ি থেকে তিনটি থার্মোমিটারও উদ্ধার করেছেন।
সাকিলা গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, ওই রাসায়নিক আনত তার স্বামী। লোক দিয়ে তা মেশানোর কাজ করত চোলাইয়ে। সাকিলাকেও লাগানো হত এই কাজে। কত লিটার চোলাইয়ে কী পরিমাণ ওই রাসায়নিক মেশানো হবে, তা অবশ্য সে জানত না বলেই গোয়েন্দাদের জানিয়েছে। সাকিলার বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। |