|
|
|
|
গোষ্ঠীকোন্দলের জের |
তৃণমূল যুব নেতা প্রহৃত পাঁশকুড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নিজের দলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর পাটনায়। আহত ব্লক সভাপতি সুজিত রায়কে পাঁশকুড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। সংগঠনের ব্লক কার্যকরী সভাপতি কুরবান শাহ-ই লোক লাগিয়ে মারধর করছে বলে সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছেন সুজিতবাবু। তাঁর অভিযোগ, “কাঁসাই নদীতে বালি খাদান মালিকদের কাছ থেকে তোলা তুলতে চাইছিল কুরবান। তাতে বাধা দেওয়ার জন্যই আমাকে মারধর করে ওরা।” অভিযোগ অস্বীকার করে কুরবান শাহ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সুজিত তোলা তুলত। জাকির হোসেন নামে দলীয় এক কর্মী তার ভাগ চায়। সেই নিয়েই গণ্ডগোল। সম্পর্কে আত্মীয় হলেও জাকিরের সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই।”
এ দিকে, পাঁশকুড়ায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাশাপাশি তোলা আদায়ের বিষয়টি এই ভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছেন যুব তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তোলা আদায় নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাইছেন না কেউ। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে বলেন, “সুজিতবাবুকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনায় দলেরই কিছু লোক জড়িত বলে জানতে পেরেছি। পুরো ঘটনাটি দলীয় স্তরে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
স্থানীয় ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকায় ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি সুজিত রায়ের বাড়ি। ওই এলাকাতেই বাড়ি সংগঠনের ব্লক কার্যকরী সভাপতি কুরবান শাহের। দু’জনের মধ্যে গণ্ডগোল চলছে অনেক দিন ধরেই। সুজিতবাবুর অভিযোগ, “মিটমাট করে নেওয়ার কথা বলে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ শ্যামসুন্দরপুর পাটনা বাজারে একটি চায়ের দোকানে কুরবান দেখা করে। দু’জনে মিলে চা খাওয়ার পরে বেরিয়ে আসার সময়ে স্থানীয় একটি স্কুলের সামনে ৮-১০ জনের দুষ্কৃতীদল চড়াও হয়। হকি স্টিক দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারে দুষ্কৃতীরা। পায়ে তলোয়ারের কোপ মারে। কুরবানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। ও বাধা দেয়নি।” পরে গুরুতর আহত সুজিতবাবুকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা পাঁশকুড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। রাতে তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা জাইদুল খানের অভিযোগ, “সুজিতবাবুকে মারধরের ঘটনায় দলের যুব নেতা কুরবান শাহ ও তাঁর লোকজন জড়িত বলে জানতে পেরেছি। জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|