নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আজ, শুক্রবার থেকে ভসরাঘাটের ‘ফেয়ার ওয়েদার’ সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হবে। এত দিন জেলা পরিষদের উদ্যোগেই এই অস্থায়ী সেতু তৈরি হত। যা বর্ষার সময়ে নিশ্চিহ্ন হত। ফের তৈরি করা হত শীতের মুখে। কিন্তু, অস্থায়ী কাজে বছর-বছর কেন খরচ করা হবেঅডিট বিভাগ প্রশ্ন তোলায় এ বার বর্ষাশেষে আর সেতু তৈরি করেনি জেলা পরিষদ। তাতে নয়াগ্রাম, কেশিয়াড়ি-সহ কয়েকটি ব্লকের মানুষজনের বিস্তর অসুবিধা হচ্ছিল। তাই এ বারই প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি করা হল অস্থায়ী সেতু। তৈরির খরচ তুলতে ওই সংস্থাই টোল আদায় করবে। জেলা পরিষদও টোল আদায়ে কোনও না কোনও সংস্থাকে বরাত দিত। কিন্তু সেই সংস্থা জেলা পরিষদকে যে টাকা টোল বাবদ দিত, তা অস্থায়ী সেতুর নির্মাণ-খরচের চেয়ে ঢের কম। বছর বছর ক্ষতিই হচ্ছিল জেলা পরিষদের।
এ বার বেসরকারি সংস্থা টোল নেবে, তবে কোন গাড়ি থেকে টোল বাবদ কত টাকা নেওয়া হবেতা ঠিক করে দেবে জেলা পরিষদই। তা ইতিমধ্যেই স্থিরও হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, বড় গাড়ির ক্ষেত্রে ৫০ টাকা, ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে ২৫ টাকা, মোটরবাইকের ক্ষেত্রে ৩ টাকা ও সাইকেলের ক্ষেত্রে ২ টাকা টোল ধার্য হয়েছে। সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরুর আগে শুক্রবার সকালে ভসরাঘাটে যাবেন এক ইঞ্জিনিয়র। কী ভাবে সেতু তৈরি হয়েছে, কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, সে সব খতিয়ে দেখা হবে। বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে নয়াগ্রামের বিডিও-র কথা হয়েছে। সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “সেতু তৈরির কাজ সম্পূর্ণ। শুক্রবার থেকেই গাড়ি চলবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাই সেতুর দেখভাল করবে। স্থানীয় মানুষকে আর সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না।” কেশিয়াড়ি ও নয়াগ্রামের মাঝে বইছে সুবর্ণরেখা। স্থায়ী সেতু নেই। রাজ্য সরকার অবশ্য ক’মাস আগে ভসরাঘাটে স্থায়ী সেতুর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে। সে সেতু কবে গড়ে উঠবে, তা অবশ্য সময়ই বলবে। এত দিন বর্ষা-শেষে ফি বছর সুবর্ণরেখার উপর অস্থায়ী কাঠের সেতু তৈরি করা হত। জেলা পরিষদই তৈরি করত। কিন্তু, ‘লোকসান’ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে। তাই বেসরকারি সংস্থাকেই পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ‘ফেয়ার ওয়েদার’ সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সেতু তৈরি এবং টোল আদায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্তা নান্টু অধিকারী বলেন, “শুক্রবার থেকে গাড়ি চলাচল শুরু হবে। তার আগে সব প্রস্তুতিই সারা হয়েছে।” |