হাতির হামলায় ক্ষতিপূরণের টাকা বাড়ানোর জন্য বনদফতর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরে এ কথা জানান রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। হাতিদের হামলা মোকাবিলা করা নিয়ে এ দিন তিনি বিষ্ণুপুর বনবিভাগে বাঁকুড়া জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ডিএফও’দের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে মন্ত্রীর কাছে ক্ষতিপূরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কয়েক জন চাষি। বনমন্ত্রীর আশ্বাস, “ক্ষতিপূরণের টাকার অঙ্ক বাড়ানোর জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত হয়েছে। তাঁদের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তা বাজেটে অর্ন্তভূক্ত করা হবে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরে বিষ্ণুপুর (পাঞ্চেত) ও বাঁকুড়া (উত্তর) বনবিভাগে হাতির হামলায় ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। হাতির হানায় কয়েক জন জখম হন। অনেক ঘরবাড়ি ভাঙা পড়ে। চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে প্রায় ১৫০টি হাতি এই বাঁকুড়া জেলায় ঢুকে চাষের খেতে হানা দিচ্ছে। প্রাণহানির আশঙ্কায় তটস্থ বাসিন্দারা। বনকর্মীদের উপরে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বনকর্তারা বনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়ও। মন্ত্রী জানান, ঝাড়খণ্ড থেকে হাতি ঢোকা বন্ধ করার জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাঁকুড়া জেলায় বনশুয়োরের উপদ্রব বাড়ায় মন্ত্রী জানিয়েছেন, তা ধরে সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের খাদ্যের জন্য পাঠানো হবে। |