নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
চিনের সমাজতন্ত্রই প্রকৃত সমাজতন্ত্র কি না, তা এখনও এ দেশের কমিউনিস্টরা ঠিক করে উঠতে পারেননি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ চিনের প্রশংসা করায় উল্লসিত এ দেশের কমিউনিস্টরা।
ভারতের তুলনায় চিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে বলে ক’দিন আগেই ওড়িশায় বিজ্ঞান কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেছেন মনমোহন। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে অস্ত্র করেই তাঁর সমালোচনায় নেমেছেন বাম নেতৃত্ব। তাঁদের যুক্তি, মনমোহন আর তাঁর সরকার বেসরকারিকরণের মন্ত্র আউড়ে গেলে চিন এগিয়েই থাকবে।
গবেষণা ক্ষেত্রে ভারতের কম ব্যয়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার শেষে দেশের জিডিপি-র ২ শতাংশ গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় হবে। প্রধানমন্ত্রীর ‘খোলামেলা স্বীকারোক্তি’কে কটাক্ষ করে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি আজ দলীয় মুখপত্রে লিখেছেন, “গবেষণা ক্ষেত্রে এ দেশে যা খরচ হয়, চিন তার পাঁচ গুণ বেশি গবেষণায় ব্যয় করে।” ইয়েচুরির যুক্তি, প্রধানমন্ত্রী গবেষণা ও উন্নয়নেও সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের কথা বলছেন। কিন্তু ওই পথে কোনও দিনই আর এক জন শ্রীনিবাস রামানুজন বা সত্যেন্দ্রনাথ বসু তৈরি করা যাবে না। কারণ বেসরকারি সংস্থা সব সময়ই লাভের পথ খুঁজবে, গবেষণায় নজর দেবে না। |