এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে দলবাজির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ওই সংগঠনের সমর্থকদের অভিযোগ, চারুকলা বিভাগের ডিন সোমনাথ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাজনীতি করছেন। প্রতিবাদ জানাতে গেলে কয়েক জন ছাত্রকে তিনি মারধর করেন বলেও অভিযোগ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন সোমনাথবাবু।
রবীন্দ্রভারতী সূত্রের খবর, সরকারের নির্দেশেই বছর চারেক আগে চারুকলা বিভাগটি জোড়াসাঁকো থেকে বি টি রোড ক্যাম্পাসে চলে আসে। চারুকলা বিভাগের কিছু অধ্যাপক ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। সোমনাথবাবুর বক্তব্য, “বি টি রোড ক্যাম্পাসে চারুকলার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। জোড়াসাঁকোয় আছে। তাই প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস ওখানে করার জন্য এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতেই আপত্তি এক দল ছাত্রের। তারাই এ দিন উপাচার্যকে ঘেরাও করে।” আর উপাচার্য করুণাসিন্ধু দাস বলেন, “উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু কয়েক দিন আগে এসেছিলেন। তখন চারুকলা বিভাগের পক্ষ থেকে জোড়াসাঁকোয় প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস ফেরানোর দাবি জানানো হয়। কেন মন্ত্রীকে ওই দাবি জানানো হল, বিবাদের শুরু তা থেকেই।” কিন্তু উপাচার্যকে ঘেরাও কেন? তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সম্পাদক সুজিত সামের অভিযোগ, ওই অধ্যাপক বামপন্থী। বেছে বেছে তৃণমূল-সমর্থকদের শাসাতেন। তাই ওই অধ্যাপককে সরানোর দাবিতে ঘেরাও করা হয়।
|
রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সমর্থকদের বলা, কোনও অবস্থাতেই শিক্ষক নিগ্রহ নয়। একেই তো বাংলা শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে, এর পরে কি এটুকুও থাকবে না! সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় |
|
সিপিএমের আমলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ১৪৪ ধারা জারি করতে হত। ওই অবস্থার পরিবর্তন চেয়েই আমরা আমজনতা এদের জিতিয়েছি। কিন্তু বোঝা যাচ্ছে, ইপ্সিত পরিবর্তন বহু দূরবর্তী। সুনন্দ সান্যাল |
|
অধ্যক্ষকে মারধর করা গর্হিত কাজ হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার এই পরিণতি দেখে আশঙ্কিত হচ্ছি।
সুগত মারজিত |
|