বর্ষশেষের রাতে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে একটি বহুতল থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর মা যথাযথ তদন্তের জন্য লিখিত আর্জি জানালেন পুলিশের কাছে। কৌশিক দত্ত (৩৭) নামে ওই যুবকের মা অণিমা দত্তের লেখা চিঠিতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে যাদবপুর থানাকে।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) বিশ্বরূপ ঘোষ বৃহস্পতিবার অণিমাদেবীর চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “কৌশিকবাবুর মায়ের লেখা চিঠিতে সরাসরি খুনের অভিযোগ আনা হয়নি। তবে এই মৃত্যুর পিছনে কারও হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।” পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অণিমাদেবীর অভিযোগ, তাঁর ছেলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে রটানো হচ্ছে। অণিমাদেবীর কথায়, “আমার ছেলে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে এসেছিল। এর জন্য তার কোনও হতাশা ছিল না। মা-বাবার পাশে থাকবে বলে ও কলকাতাতেই চাকরি খুঁজছিল।” ৩১ ডিসেম্বর রাতে কৌশিকবাবুর ওয়ালেট, দু’টি মোবাইল ফোন, দু’টি ক্রেডিট কার্ড খোয়া গিয়েছে বলে অণিমাদেবীর অভিযোগ। কৌশিকবাবু দক্ষিণ কলকাতার আবাসনের ৩১তলায় যে-বান্ধবীর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী অতনু সরকার এ দিন অণিমাদেবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কৌশিকবাবুর মা বলেন, “অতনু অনুরোধ করেছে, আমার ছেলের মৃত্যু নিয়ে যেন কোনও রকম জল ঘোলা করা না-হয়।” অতনুবাবুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অবশ্য বলেন, “আমি কাকু-কাকিমার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এ রকম কোনও বিষয়ে কথা হয়নি।”
|
অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (৪০) দেহ মিলল। বৃহস্পতিবার, নারকেলডাঙা থানার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডে। মৃতের গায়ে ট্যাক্সিচালকের পোশাক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ পড়ে যান। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিনই দুপুরে লিলুয়ার চামরাইল পেট্রোল পাম্পের পাশে একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (৪০) দেহ মেলে। পুলিশ জানায়, শরীরে পচন ধরে যাওয়ায় ওই ব্যক্তির দেহে আঘাতের চিহ্ন আছে কি না বোঝা যাচ্ছে না। |