নজরুল আকাদেমি গড়ে তোলার পদক্ষেপকে
স্বাগত জানাতে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়ে গেলেন কাজী
নজরুল ইসলামের নাতনি।
বৃহস্পতিবার মহাকরণে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান কবির নাতনি এবং কাজী সব্যসাচীর ছোট মেয়ে মিষ্টি কাজী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে স্নেহা কাজী এবং রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরে সাংবাদিকদের মিষ্টি কাজী বলেন, “এত দিন রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার কবিকে কোনও স্বীকৃতি দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্দিরা ভবনে দাদুর নামে আকাদেমি করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করায় আমাদের পরিবারের
সকলেই ভীষণ আনন্দিত। তাই আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধনাবাদ জানাতে এসেছি।”
ইন্দিরা ভবনে নজরুল আকাদেমি করা নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে, সে সম্পর্কে অবহিত নজরুলের পরিবার। মর্মাহতও। মিষ্টি কাজী বলেন, “দাদু কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন না। তাই দাদুকে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক আমাদের ভাল লাগছে না। ইন্দিরা গাঁধীকে আমরাও শ্রদ্ধা করি। দাদুর নামে আকাদেমি হলেও ইন্দিরা ভবন নাম তো থাকছে।” কংগ্রেসের এই ভূমিকায় তাঁদের পরিবার যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বলে তিনি জানান।
|
মহাকরণে নজরুলের নাতনি মিষ্টি কাজী। সঙ্গে তাঁর মেয়ে স্নেহা। বৃহস্পতিবার। ছবি: দেবাশিস রায় |
কলকাতার ক্রিস্টোফার রোডে সিআইটি-র যে ছোট্ট ফ্ল্যাটটিতে কবি থাকতেন, সেই ফ্ল্যাটটি সংরক্ষণের জন্য আগের সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেছিল কবির পরিবার। কিন্তু কিছুই হয়নি। মিষ্টি কাজী বলেন, “আমরা আগের সরকারে কাছে দরবার করলেও কোনও মন্ত্রী বা সরকারি আধিকারিক আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।” ওই ফ্ল্যাটটির ভাড়া বাবদ যে একশো টাকা সরকার নিত, তা মকুব করার আবেদন করলেও তৎকালীন সরকার তাতে কর্ণপাতও করেনি বলে তাঁর অভিযোগ। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ
হাকিম জানান, ক্রিস্টোফার রোডের ওই ফ্ল্যাটটি দ্রুতই সংস্কার করা হবে। তিনি এ দিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, কবির স্মৃতি-বিজড়িত ফ্ল্যাটটি এমন ভাবে সংস্কার করতে যাতে ওঁর আত্মীয়রা সেখানে ভাল ভাবে বসবাস করতে পারেন। |