গৃহকর্ত্রীকে বেহুঁশ করে দিন-দুপুরে নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুই দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের শ্রীনগর পল্লিতে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ দুই যুবক দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নির্মলকান্তি নাগের বাড়িতে ‘মিটার রিডিং’ করতে আসে। সেই সময় নির্মলবাবু বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী নমিতাদেবী বাড়িতে একাই ছিলেন। যিনি নিয়মিত মিটার রিডিং করতে আসেন তাঁকে না দেখে নমিতাদেবী সন্দেহ প্রকাশ করেন। কিন্তু ওই দুই যুবক জানায়, তারা নতুন কাজে যোগ দিয়েছে। নমিতাদেবী পিছু ফিরতেই এক জন একটি ভোজালি নিয়ে নমিতাদেবীর পিঠে ঠেকায়। আলমারির চাবি করে দিতে বলে। নিমরাজি হয়েও দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পেতে নমিতাদেবী চাবি কোথায় রয়েছে তা জানাতে বাধ্য হন। এর পরেই আতঙ্কিত নমিতাদেবীর নাকে রুমাল চেপে ধরে তারা। বেহুঁশ হয়ে পড়েন তিনি। দুষ্কৃতীরা আলমারি খুলে নগদ টাকা, গয়না হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। |
বেশ কিছুক্ষণ পরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছন প্রতিবেশী অর্পিতা পাল। তিনি জানান, নমিতাদেবী তখনও বেঁহুশ। বেশ কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান ফেরে তাঁর। অর্পিতার কথায়, “জ্ঞান ফিরতেই দিদা বলেন, সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। তখন আমরা বুঝতে পারি কি হয়েছে।” এর পরে মাঝে মধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছিলেন নমিতাদেবী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ হয়। তবে স্থানীয় এক চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে সুস্থ করে তোলেন। নমিতাদেবী বলেন, “মিটার রিডিং নেবে বলে দুই যুবক এসেছিল। আমার গায়ে ভোজালি ঠেকিয়ে চাবি নিল। তার পর আমার আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরতেই বুঝি যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, নমিতাদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই দুষ্কৃতীর চেহারা সম্পর্কে আন্দাজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। কথা বলা হয়েছে প্রতিবেশীদের সঙ্গেও। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। |