আসানসোল স্টেশনে টাটা-ছাপরা এক্সপ্রেসের কামরা থেকে উদ্ধার হওয়া পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে প্রায় চার লিটার তরল পলি-সালফাইড পেয়েছে রেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বম্ব স্কোয়াডের বিশেষজ্ঞরা কৌটো ভর্তি ওই তরল উদ্ধার করেন। তবে কে বা কারা কোথায় ওই তরলটি নিয়ে যাচ্ছিল, তা নিয়ে কিছু জানতে পারেনি পুলিশ।
আসানসোল রেল পুলিশের আইসি দিলীপ কর্মকার জানিয়েছেন, ট্রেন আসানসোল স্টেশনে ঢোকার আগে এক মহিলা যাত্রী ট্রেনের শৌচাগারের পাশে ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেন। সহযাত্রীদের তিনি বিষয়টি জানান। এর পরে অন্য যাত্রীদের মধ্যে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেন আসানসোল স্টেশনে থামার পরে যাত্রীরা জিআরপি থানায় খবর দেন। সেখান থেকে পুলিশ এসে ব্যাগটি পরীক্ষা করে। |
খবর পাঠানো হয় আরপিএফ-কে। পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশি চালানোর পরে ট্রেন থেকে ব্যাগটি নীচে নামিয়ে নেওয়া হয়। এর পরে প্রায় আধ ঘণ্টা স্টেশনে দাঁড় করিয়ে গোটা ট্রেনে তল্লাশি চালায় জিআরপি ও আরপিএফ। রাত সওয়া দু’টো নাগাদ ট্রেনটিকে ফের স্টেশন থেকে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ এর পরে ব্যাগটিকে নিরাপদে রেখে দেয় সাত নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া একটি মাঠে বালিগাদার মধ্যে। খবর যায় হাওড়া বম্ব স্কোয়াডে। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ বম্ব স্কোয়াডের ৪ বিশেষজ্ঞ আসানসোলে পৌঁছন। ব্যাগ পরীক্ষা করার পরে বম্ব স্কোয়াডের ওসি নিতাইচন্দ্র ঘোষ জানান, ব্যাগের কৌটোয় প্রায় ৪ লিটার তরল পলি-সালফাইড আছে। কী কাজে ব্যবহৃত হয় এই তরল? নিতাইবাবু বলেন, “আরও অন্যান্য রাসায়নিকের সঙ্গে এই তরল মিশিয়ে বিস্ফোরক বানানো হয়।” তিনি জানিয়েছেন, আগেও বহু বার এই তরল উদ্ধার হয়েছে। |
বৃহস্পতিবার সকালে পরিত্যক্ত ব্যাগটির কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সকাল থেকে ব্যাগটি দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমতে শুরু করে। ব্যাগ ঘিরে রেখেছিলেন জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীরা। উৎসুক জনতাকে সরাতে গিয়ে পুলিশকেও হিমসিম খেতে হয়েছে।
|