প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় অনেক রাস্তার হাল ফিরলেও সাবেক নিকাশি ব্যবস্থা উধাও। তার অন্যতম কারণ, রাস্তার ধারে যত্রতত্র জনপদ গড়ে উঠেছে। দোকানপাট তৈরি হয়ে রাস্তা দখল হয়ে গিয়েছে। ব্যান্ডেল-পাণ্ডুয়া, মগরা-দশঘরা, চুঁচুড়া স্টেশন-ধনেখালি, মহানাদ-সেনেট প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলির এই হাল। বর্ষা আসলে রাস্তার অবস্থা ভাঙাচোরা হয়ে পড়ে। নিকাশির সমস্যা থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেয়। বহু জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যায়। ১০-১৫ বছর আগেও দেখা যেত, বর্ষাকালে ডিভিসি ও পিডব্লুডি কর্মীরা ঝুড়ি-কোদাল নিয়ে সাইকেলে টহল দিতেন। জমা জল বের করে দিতেন তাঁরা। এর ফলে রাস্তাও সহজে নষ্ট হত না। আজকাল সে ব্যবস্থা আর চালু নেই। বর্ষায় এখন জল জমে রাস্তা আরও ভাঙে। সরকারের খরচও বাড়ে। বর্ষার মরসুমে এ ধরনের টহলদারি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনলে আখেরে সরকারেরই লাভ। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে এই ব্যবস্থা চালু করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখা উচিত। এতে এক দিকে রাস্তার আয়ু যেমন বাড়বে, সরকারের খরচ কমবে। অনেকে কাজও পাবে।
মহসীন দরগাই। রামনাথপুর, হুগলি।
|
পূর্ব রেলের হাওড়া-তারকেশ্বর শাখায় বিষ্ণুপুর পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনে তালপুর স্টেশন সম্প্রসারিত হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি অত্যন্ত গৌরবের কাজ। সারা দিনে মাত্র তিন জোড়া ট্রেন এখান দিয়ে যাতায়াত করে। ফলে, যাত্রীদের সুবিধার থেকে অসুবিধাই হয়েছে বেশি। সকালের ট্রেনে কেউ হাওড়া গেলে দুপুরের আগে কোনও ট্রেন ফেরার ট্রেন পান না। আবার কেউ বিকেলে ফিরতে চাইলে রাত সাড়ে ৮টার আগে তালপুরের কোনও ট্রেন নেই। স্টেশনের পরিকাঠামোও তেমন ভাবে গড়ে ওঠেনি। স্টেশন চত্বর চমকপ্রদ হলেও স্টেশন-সংলগ্ন কোনও গ্যারাজ নেই। যাত্রীরা খুবই সমস্যায় পড়েন। তালপুরের বদলে তারকেশ্বর হয়ে যাতায়াত করলে এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে হয় না। স্টেশনটিকে আরও ব্যবহারোপযোগী করতে আরও ট্রেন বাড়ানো দরকার। তাতে যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যও বাড়বে। বিদ্যুৎ ভৌমিক। তারকেশ্বর, হুগলি।
|
ত্রিবেণী মহাশ্মশান ও ঘাটের অদূরে সরস্বতী নদীর সঙ্গে ভাগীরথীর মিলনস্থলে আজও নদীবক্ষে রয়েছে প্রচুর জাহাজের সাজসরঞ্জাম। গুদাম ঘরগুলি ভেঙে গিয়েছে। সেখানে আগাছায় ঢাকা। কিন্তু ত্রিবেণী এখনও পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তাই পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন বিভাগ এবং বাঁশবেড়িয়া পুরসভার কাছে নিবেদন, নদীবক্ষ এবং পাড় পরিষ্কার করলে ঈশ্বরগুপ্ত সেতু থেকে ত্রিবেণী ঘাট পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। ত্রিবেণী ঘাট ও মহাশ্মশানের সংস্কারের কাজ হচ্ছে। তবু তারই মাঝে জোড়া শিবমন্দিরের ভগ্নদশা দৃষ্টিকটূ লাগছে। এ দু’টিরও সংস্কার জরুরি।
লক্ষ্মণ সাঁতরা। দাদপুর, হুগলি।
|
তারকনাথের মন্দিরের শহর তারকেশ্বর। কর্মসূত্রে এই শহরে আমায় নিয়মিত এখানে আসতে হয়। কিন্তু একটা সমস্যা এই এলাকার প্রত্যেক মানুষকেই ভোগায়। সমস্যাটি এক কথায়, দুর্গন্ধ। প্রায় পুরো এলাকাটিই দুর্গন্ধে ভরা। বিশেষ করে বাসস্ট্যান্ড এলাকা। এর মূল কারণ, বাসস্ট্যান্ড ঘিরে যে নর্দমা আছে, তা একেবারেই পরিষ্কার নয়। তাল তাল নোংরা জমে থাকে সব সময়। দুর্গন্ধে বাতাস সব সময়েই ভারি হয়ে থাকে। অথচ, ঢিলছোড়া দূরত্বে পুরসভা। তারা কেন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ? নিত্যযাত্রীরা তো বটেই, মন্দিরযাত্রীরাও তাতে উপকৃত হবেন।
সৈয়দ মহম্মদ মুসা। সাহাবাজার, হুগলি।
|
আন্দুল রাজপুল থেকে সি সি পাল রোড প্রভু জগদ্বন্ধু কলেজ পেরিয়ে সরস্বতী নদীকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথ ডিঙিয়ে ঝোড়হাট, রাজগঞ্জের মতো কয়েকটি গ্রামের বুক চিরে সোজা চলে গিয়েছে গঙ্গা-লাগোয়া বাসুদেবপুর পর্যন্ত। কিন্তু তার হাল খুবই খারাপ। বর্ষায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। সড়ক সংস্কারে নজর দিক কর্তৃপক্ষ।
স্বপনকুমার ঘোষ, মনিকা ঘোষ। মধ্য জোড়হাট, হাওড়া।
|
বৈদ্যবাটি স্টেশনের কাছে ১১ নম্বর রেলগেটটি এক বার বন্ধ হলে তা খুলতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ, এই লাইনে ইদানীং ট্রেনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ গেট পড়ে থাকায় জিটি রোডেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বহু দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, এই গেটে জিটি রোডের উপরে ফ্লাইওভার তৈরি হবে। কিন্তু এখনও তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
কালীশঙ্কর মিত্র। পূর্বাচলপল্লি, ভদ্রেশ্বর।
|
চণ্ডীতলা ব্লকের বরিজহাটি থেকে নানুর হয়ে ডোমজুড় পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার হয়নি। এখান দিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের বহু মানুষ নিত্যদিন যাতায়াত করেন। এবড়োখেবড়ো খানাখন্দময় রাস্তার কারণে সমস্যা হচ্ছে। রাস্তাটি সংস্কার হওয়া দরকার।
শুকুর আলি। চাকুন্দি, হুগলি। |