তফসিলি উপজাতির হাজার কনস্টেবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত |
রাজ্যের চারটি জেলার তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্তদের (এসটি) মধ্যে থেকে এক হাজার কনস্টেবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তার মধ্যে জঙ্গলমহলের তিন জেলা--পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকেই নিয়োগ হবে ৭০০ জনের। বাকি ৩০০ জনের নিয়োগ নির্দিষ্ট হয়েছে দার্জিলিং জেলা থেকে। মোট পদের ১০ শতাংশ আবার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। চাকরির আবেদনপত্র নিখরচাতেই পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের মহকুমা কেন্দ্র থেকে। থানা-স্তরেও আবেদনপত্র বিলির চিন্তাভাবনা চলছে। ১০ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনপত্র দেওয়া হবে। ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। এই চাকরির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে মাধ্যমিক। ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়সীরা আবেদন করতে পারবেন।
ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, জঙ্গলমহলের তিন জেলা থেকে হোমগার্ড, এনভিএফ, জুনিয়র কনস্টেবল পদে ১০ হাজার যুবক-যুবতীকে নিয়োগ করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতি মতো নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ করাও হয়েছে। এ বার আবার এসটি সম্প্রদায়ভুক্ত হাজার যুবক-যুবতীকে কনস্টেবল হিসাবে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হল। পুলিশকর্তাদের দাবি, আগে এই ধরনের নিয়োগের বিষয়ে বিশেষত প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ খবরই পেতেন না। বহু এলাকাই রয়েছে যেখানে চাকরির বিজ্ঞাপন-সংক্রান্ত কাগজ পৌঁছয় না। সবার পক্ষে নিয়মিত শহরে এসে খোঁজখবর নেওয়াও সম্ভব নয়। কিন্তু এখন পুলিশে চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয় থানা থেকেই খোঁজখবর পাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। নিখরচায় আবেদনপত্রও মিলছে। এতে উপকৃত হচ্ছেন জঙ্গলমহলের মতো এলাকার যুবক-যুবতীরা। সেই সঙ্গে প্রশাসনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কও নিবিড় হচ্ছে। মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় যা ‘বড় লাভ’ বলেই মনে করছেন পুলিশকর্তারা।
|
নতুন বছরে বামফ্রন্টের প্রথম বৈঠক বসছে কাল, শুক্রবার। সিপিএম-সহ বেশ কিছু বাম শরিক দলের সম্মেলন-পর্ব চলছে। তার মধ্যেই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা সেরে নিতে চান বাম নেতৃত্ব। মহাজাতি সদনের অছি পরিষদ ওই ভবনের বিষয়ে নতুন যে পরিকল্পনা করেছে, তা নিয়েও আলোচনা চান শরিক নেতৃত্বের একাংশ। আধুনিক পরিকল্পনার নামে ওই ‘ঐতিহ্যশালী’ ভবনটিতে হাত পড়ুক, চান না তাঁরা। তবে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও ঘোষণা না-হওয়ায় প্রকাশ্যে কেউ এখনও মুখ খোলেননি। গোটা বিষয়টাই ফ্রন্টে আলোচনা করে নিতে চান শরিক নেতারা। তবে সদ্যসমাপ্ত রাজ্য সম্মেলনে সিপিআই যে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বদলের দাবি তুলেছে, সেই প্রস্তাব তারা বামফ্রন্টে তোলে কি না, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে ফ্রন্ট শিবিরে। |