শহর থেকে বেরনো ও ঢোকার সময় বিষ্ণুপুর স্টেশন লাগোয়া লেভেল ক্রসিংয় পার হতে হয়। কিন্তু অফিস সময় তো বটেই, দিনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ট্রেন চলাচল বেশি হওয়ায় রেলগেট ঘনঘন বন্ধ থাকে। এর ফলে তীব্র যানজটে পড়ে যানজটে জেরবার হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেখানে একটি উড়ালপুলের দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
বিষ্ণুপুর ‘ডেলি প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি স্টেশন ম্যানেজারকে বার বার জানিয়েছি। কাজের কাজ কিছু হয়নি।” বিষ্ণুপুর স্টেশন ম্যানেজার হরিদাস রায় বলেন, “এই দাবি খুবই যুক্তিপূর্ণ। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এক সময় আলোচনা করেছিলেন। চিন্তা-ভাবনাটি এখন কোন স্তরে রয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।” |
বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঁকুড়া-পুরুলিয়া যাওয়ার পথে এই রেলগেট পড়ে। বাঁকুড়া কিংবা পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে কলকাতা, মেদিনীপুর, আরামবাগ, তারকেশ্বর যাওয়ার যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া, অনেকে এই রাস্তা দিয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী নিয়ে যান। কিন্তু লাইনে ট্রেন চলাচল বাড়লে ঘনঘন রেলগেট বন্ধ হতে থাকে। ফলে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়। দুর্গাপুর, পুরুলিয়ার দিক থেকে বিষ্ণুপুরে আসা ট্যুরিস্ট বাসগুলিকেও অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। রেলগেট খুলে যাওয়ার পরে যানজট কাটতেও বেশ সময় লাগে। তাই এই পথের যাত্রীরা রেললাইনের উপরে একটি উড়ালপুল তৈরির দাবি তুলেছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর স্টেশন দিয়ে পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, রূপসীবাংলা, গোমো-চক্রধরপুর, খড়্গপুর-হাতিয়া ও আরণ্যক এক্সপ্রেস যাতায়াত করে। বিকেলে খড়্গপুর-গোমো, রূপসীবাংলা, পটনা-পুরী প্যাসেঞ্জার ইত্যাদি ট্রেন চলাচল করে। বিষ্ণুপুর রেলগেটের এক কর্মী বলেন, “প্রতিটি ট্রেনের জন্য প্রায় দশ মিনিট করে রেলগেট বন্ধ রাখতে হয়। এ ছাড়া লাইনে মালগাড়ি থাকলে অনেক ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগে।” একটি বে-সরকারি বাসের চালক ভবানী পাল বলেন, “যানজট দীর্ঘ হয়ে যাওয়ায় গেট খোলার পরেও জট কাটিয়ে গন্তব্যের দিকে এগোতে বহু সময় লেগে যায়।” বিষ্ণুপুর শহরের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ওই রাস্তা দিয়ে রোগীদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে গেলেও খুব চিন্তায় পড়তে হয়। রেলক্রসিংয়ের যানজটের ভয়ে অনেক সময় গাড়ি ঘুরিয়ে দূরের বাইপাস রাস্তা ধরতে হয়। তাই দ্রুত উড়ালপুলের দাবি জানানো হয়েছে। |