মহিলা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা রেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ই এম ইউ ট্রেনে যথাক্রমে সংরক্ষিত কামরায় এবং সংরক্ষিত আসনে ভ্রমণ করতে পারেন। পাশাপাশি প্রতিটি ই এম ইউ ট্রেনের মোট যাত্রী-সংখ্যার প্রায় পনেরো শতাংশ ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ পুরুষ নাগরিক, যাঁরা প্রত্যেকেই বয়সের কারণে কমবেশি অসুস্থ এবং অক্ষম হলেও এই রকম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ফলে, ই এম ইউ ট্রেনে ভিড়ে-ঠাসা কামরায় প্রায় দণ্ডায়মান অবস্থায় দীর্ঘ পথ ভ্রমণের ফলে ওই বয়স্ক নাগরিকরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এই কষ্টের অবসানকল্পে ই এম ইউ ট্রেনে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি কামরা সংরক্ষিত করার ব্যবস্থা করতে মাননীয় রেলমন্ত্রী তথা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই। প্রবীণদের ট্রেনভাড়ার তিরিশ শতাংশ ছাড় দেওয়ার জন্য রেল দফতরের যে আর্থিক ক্ষতি হয়, এ ক্ষেত্রে রেলের সেই ক্ষতির বিষয়টি জড়িয়ে নেই।
সন্তোষকুমার মাইতি। রাইন, কোলাঘাট, পূর্ব মেদিনীপুর
|
আমি সরকারি কর্মচারী। গত ৩০ বৎসর কলকাতা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে কর্মরত ছিলাম। গত (২১-১২) মাস্টারদা সূর্য সেন স্টেশন থেকে একটি ৮ টাকার কুপন ক্রয় করে সকাল ৯টা নাগাদ সেন্ট্রাল স্টেশনে এসে ম্যাগনেটিক গেট পার হওয়ার সময় দেখা যায় আমাকে ৬ টাকার কুপন দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে (স্টেশন মাস্টার সেন্ট্রাল) ২৫০+২ মোট ২৫২ টাকা জরিমানা করেন।
অনেকেই এই ভাবে হেনস্থা হতে পারেন যদি না কুপনে টাকার অঙ্ক নির্ধারিত থাকে। সব কুপনই কালো রঙের, একই রকম দেখতে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, যাতে কুপনে টাকার অঙ্ক উল্লেখ করা হয়। অন্যথায় ঠিক ভাড়া দিয়েও অনেকেই হেনস্থা হবেন। জরিমানার অর্থ না-থাকায় হাজতবাসও হতে পারে।
সৌম্য বসু। বাঁশদ্রোণী, কলকাতা
|
টেলিভিশনের সমস্ত সংবাদ-চ্যানেলের কাছে দুটি কাতর প্রার্থনা জানাই।
১) খুনজখম বা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর সংবাদ পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে মৃতের বিকৃত, বীভৎস চিত্র ‘বারংবার’ প্রদর্শন করায় দর্শকমাত্রেরই, বিশেষত শিশুদের মনে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা ব্যক্তির ও সমাজের পক্ষে বিশেষ ক্ষতিকারক।
২) ঘটনার পর মৃতের পরিজনদের কাছে ঘটনার বিবরণ বা প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া সুবিবেচনার পরিচায়ক নয়। সাংবাদিকের অধিকারে হস্তক্ষেপ বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ক্ষতিকর বিবেচিত না হলে ওই ধরনের তৎপরতা থেকে বিরত থাকুন।
অসীমকৃষ্ণ দত্ত। আসানসোল
|
পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি-সংক্রান্ত পরিস্থিতি, জটিলতা ইত্যাদি প্রসঙ্গে আমার এই চিঠি। প্রথমেই মনে পড়ে গেল লীলা মজুমদারের খেরোর খাতায় নিজের স্বামীর সম্পর্কে তাঁর বিশ্লেষণ। কী করেন তিনি? না, স্ত্রী যে প্রস্তাবগুলি দেন সেগুলির কতগুলি সম্পর্কে সম্পূর্ণ নীরব থাকেন, আর কতগুলি সম্পর্কে নানা রকম তথ্য পরিসংখ্যান দেখিয়ে সেগুলির বাস্তবায়নে কী কী অসুবিধা আসতে পারে তা নিয়ে সরব হন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে যে, প্রথম ধরনের প্রস্তাবগুলিতে তাঁর সমর্থন আছে। আর দ্বিতীয় ধরনের প্রস্তাবগুলি তিনি মানতে একেবারেই নারাজ। অপর দিকে, পরের মূল প্রস্তাবটি তিনি গ্রহণ করেছেন বলেই বাস্তব রূপায়ণের সমস্যাগুলি দূর করতে সরব হয়েছেন। সকলের জন্য শিক্ষার সৎ উদ্দেশ্যটির প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে কর্মসূচি গৃহীত হয়, সে বিষয়ে বাস্তব সমস্যাগুলি বা সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে আমাদের বিভ্রান্তি বা চিন্তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপব্যাখ্যা, আমাদের উপর দৈহিক ও মানসিক আক্রমণ আমাদের হতভম্ব করেছে। যে কোনও সৎ উদ্দেশ্যের বাস্তব রূপায়ণের ক্ষেত্রে আসতেই পারে কিছু সমস্যা বা বিভ্রান্তি। কিন্তু সেগুলি অবশ্যই দূর হতে পারে সমস্যাটির সুষ্ঠু বিশ্লেষণ ও ধৈর্যশীল পর্যালোচনার মাধ্যমে। কিন্তু সেই প্রয়াসকে যখন ‘সরকারি নির্দেশের বিরোধিতা’, ‘শিশুদের শিক্ষার অধিকারের বিরোধিতা’, ‘রাজনৈতিক দলের দালালি’ ইত্যাদি বিশেষণের চটকদার মোড়কে পরিবেশন করা হয়, তখন সন্দেহ জাগে উচ্চতর আদর্শটির প্রকৃত বাস্তব প্রয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে। আমাদের উদ্দেশ্য যদি সৎ হয়, তবে যত বাধাবিপত্তিই আসুক না কেন, তা আমরা জয় করবই। তার জন্য বাস্তব সমস্যাগুলিকে ধামাচাপা দিয়ে চটজলদি সিদ্ধান্তই বা কেন নিতে যাব, কেনই বা সেই সব মানুষকে প্রশ্রয় দেব, যাঁরা বাস্তব সমস্যাটির গভীরে না গিয়ে অপরকে ‘দোষী’ চিহ্নিত করার বিকৃত খেলায় মেতে ওঠেন?
যা-ই হোক, কোনও নীতির রূপায়ণের ক্ষেত্রে সদর্থক সমালোচনাও যে ওই নীতিটিরই একটি বাস্তববোধসম্পন্ন স্বীকৃতি এই সত্যটি সরকারের কাছে দেরিতে হলেও পৌঁছল। শুভবুদ্ধির জয় হোক।
সুশান্ত গুপ্ত। শিক্ষক, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ, কলকাতা-৩২
|
কসবার শিল্পতালুক নিয়ে গার্গী গুহঠাকুরতার প্রতিবেদনটি (১৬-১২) গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই শিল্পতালুকে প্রায় এক দশক ধরে আছি। এখানে বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চলছে। কিন্তু ১) এখানে ড্রেনের কোনও আউটলেট নেই। ২) পরিস্রুত জল মানে গভীর নলকূপ থেকে তোলা প্রচণ্ড ‘আয়রন’-ভর্তি জল। তাও মাঝে মাঝেই পাম্প খারাপ হয়ে সকলেই নির্জলা হয়ে পড়ি। সরু রাস্তার অবস্থাও শোচনীয়। আগুন লাগলে কী হবে, ঈশ্বরই জানেন। আমরা আবেদন করেই চলেছি, আজও দমকলের ছাড়পত্র পাইনি। অনেকে বলছেন, ছাড়পত্র পেতে অনেক টাকা লাগবে।
তপনকুমার ধর। কলকাতা-১০৭ |