নিজস্ব সংবাদদাতা • দিনহাটা |
রান্নার গ্যাসের সমস্যা মেটানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন দিনহাটার গ্রাহকরা। কী ভাবে কালোবাজারি চলছে সেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। তাতে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সাড়া পেয়ে সমস্যা মিটবে বলে আশা করছেন দিনহাটার গ্রাহকরা। দিনহাটার রান্নার গ্যাস গ্রাহকদের অভিযোগ, ফি মাসেই ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তাঁরা। বুকিং করার পরে কবে সিলিন্ডার পাবেন তা নিশ্চিত নয়। প্রশাসনকে বহু বার জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা না-হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন তাঁরা। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের তরফে নন্দলাল কুন্ডু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দিনহাটায় সাধারণ গ্রাহকরা রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পেতে হয়রান হচ্ছেন। বুকিং করার পর দেড়-দুমাসের আগে সিলিন্ডার মিলছে না। অথচ কালোবাজারে দ্বিগুণ দাম দিলেই সহজে তা পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের বহুবার জানিয়েও লাভ না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে চিঠি দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নিতে বলে যে চিঠি (নম্বর এম এস/২২৭৬/১২০৭৬/ ১-সিএমও তারিখ ২-১১-১১) দিয়েছে তার প্রতিলিপি পাঁচ দিন আগে আমরাও পেয়েছি। আশা করছি এবার কিছু একটা বিহিত হবে।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস জানান, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের চিঠি এসেছে কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখে যা বলার বলবেন। শহরের গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় কর্মকারের অভিযোগ, গত নভেম্বরে তিনি বুকিং করেন। জানুয়ারি মাস পড়ে গেলেও এখনও সিলিন্ডার পাননি তিনি। আর এক গ্রাহক সোলেমন সরকারের অভিযোগ, নতুন কানেকশন পেতেও হয়রান হতে হচ্ছে তাঁদের। এ ছাড়াও ৪১৬ টাকা দিয়ে বুকিং করার পরেও সিলিন্ডার বাড়িতে বিলি না-করা, নতুন কানেকশন নেওয়ার সময়ে ওভেন কেনার জন্য চাপ দেওয়ার মতো অভিযোগও করেছেন ক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বহু বার অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দিনহাটার মহকুমা শাসক অগাস্টিন লেপচা বলেন, “গ্যাসের সমস্যা মেটাতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। দিনহাটায় আরেকটি সরবরাহকারী এজেন্ট দিতে আইওসিকে চিঠি দেওয়া হয়। কালোবাজারি নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাইনি।” |